প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই

প্রথম আলো আসছে। পত্রিকা প্রকাশের আগে এক বুলেটিনে আঁকা শিশির ভট্টাচার্য্যের কার্টুন। অক্টোবর ১৯৯৮
প্রথম আলো আসছে। পত্রিকা প্রকাশের আগে এক বুলেটিনে আঁকা শিশির ভট্টাচার্য্যের কার্টুন। অক্টোবর ১৯৯৮

এক.

আজ দৈনিক প্রথম আলোর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব প্রান্তে আমাদের সব পাঠক, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

গত ২২ বছরে অনেক দুঃখ-বেদনা, আনন্দ-সফলতার মধ্যে আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ একটা কঠিন বিশেষ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভীতিকর করোনা অতিমারি এখনো চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ (৩ নভেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ লাখ ৮ হাজারের বেশি। ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৬৪৭ জন। মারা গেছেন ৫ হাজার ৯৮৩ জন। আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।

এই করোনাকালে আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাঁদের জন্য শোক প্রকাশ করছি। বিশেষ করে করোনার বিরুদ্ধে সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সবার প্রতি।

এই সময়ে আমরা হারিয়েছি দেশের বেশ কয়েকজন সেরা ও অগ্রসরমাণ মানুষকে। তাঁরা হলেন আনিসুজ্জামান, জামিলুর রেজা চৌধুরী, মুর্তজা বশীর, কামাল লোহানী, নিলুফার মঞ্জুর, আবুল হাসনাত প্রমুখ। হারিয়েছি অনেক রাজনীতিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। তাঁদের সবার প্রতি আমাদের বিনীত শ্রদ্ধা।

দুই.

আজকের দিনে ২২ বছর আগের সেই প্রথম দিনটার কথা খুব মনে পড়ে। প্রথম আলো ছাপা হচ্ছে, আমরা ছাপাখানায় দাঁড়িয়ে আছি। কী যে উত্তেজনা, উদ্বেগ আর আশা! সেই রাতে আমাদের পাশে আরও একজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি জনাব লতিফুর রহমান। প্রথম আলোর মূল প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ট্রান্সকম লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত ১ জুলাই ২০২০ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।

প্রথম আলোর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য দেন ট্রান্সকম গ্রুপ ও প্রথম আলোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া স্টারের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান।

প্রথম আলো যে আজকের প্রথম আলো হতে পেরেছে, এর পেছনে তাঁর অবদান ছিল অনেক। আমরা গর্ব করে বলি, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম আর আমি, আমরা দুজন স্বাধীন সম্পাদক। এটা হতে পেরেছি জনাব লতিফুর রহমানের জন্য। তিনি আমাদের সব চিন্তা ও কাজে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু কখনোই জানতে চাইতেন না কাগজে কী ছাপা হবে। ৪ নভেম্বরে প্রথম আলোর অনুষ্ঠানগুলোয় তিনি আসতেন, আমাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। আমরা প্রথম আলোর কর্মীরা আজ তাঁর অনুপস্থিতি ভীষণভাবে অনুভব করছি। তাঁকে আমরা গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এটা বিশ্বাস করা যায় না যে তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই।

আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ পরাজিত হয় না। নিশ্চয়ই ২০২০-এর নভেম্বরের চেয়ে ২০২১-এর নভেম্বর অনেক বেশি আলোকিত হবে। মানুষ সুসময় আনবে, সুদিন আসবে। আলোকিত দিন আসবে, প্রথম আলো সেই আলোকযাত্রায় আপনাদের পাশে থাকবে। সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে এবং বিনয়ের সঙ্গে। আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই

তিন.

২২ বছর ধরে আমাদের একটা কথা বারবার বলি, সেটা হলো, ‘যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো’। আমরা ভালোর সঙ্গে থাকতে চেয়েছি, আমরা ভালোর সঙ্গে থেকেছি। প্রথম আলোর লক্ষকোটি পাঠক আমাদের সঙ্গে আছেন।

প্রথম আলো পত্রিকা নিয়ে আমরা কী চেয়েছি? শুরু থেকেই আমরা চেয়েছি একটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ কাগজ। লক্ষ্য ছিল, সত্য বলে যাব। কোনো পক্ষপাত করব না। আপনারা, বাংলাদেশের পাঠকেরা, কতটা ভালো হলে এ রকম একটা স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ কাগজের পাশে পরম ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়াতে পারেন—তা ভাবলে আমাদের গর্ববোধ হয়।

আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্রে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা খুব বেশি। আমরা সেই ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করে চলেছি, ভবিষ্যতেও করে চলব। অমর্ত্য সেন বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র আছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে, সে দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে না। কারণ, কোথাও খাদ্যাভাব দেখা দিলে সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হবে, সরকার তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এই নীতিতে আস্থা রাখি।

আমাদের কাজ সমাজের অসংগতি তুলে ধরা, মানুষের চাওয়া-পাওয়া এবং দাবিদাওয়া বিশ্বস্ততার সঙ্গে তুলে ধরা। তার মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, যাচাই-বাছাই করে সত্য প্রকাশ করা হলে মানুষের উপকার হয়, কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয় এবং সরকার তৎপর হয়। এটাই আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ; সত্য প্রকাশ করে যাওয়া। এর মধ্য দিয়েই সংবাদমাধ্যম হয়ে ওঠে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।

তবে করোনাকালে সংবাদকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি দুঃখজনকভাবে বেড়েছে। ভিন্নমত ও সমালোচনা গ্রহণে প্রশাসনের সহনশীলতার ঘাটতি ছিল। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ উদ্বেগজনক।

চার.

প্রথম আলো আরেকটা দায়িত্বের প্রতি সচেতন থেকেছে। সেটা হলো, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক কিশোর, তরুণ আর যুবকের সামনে ভালো আদর্শ, আলোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। তাদের আলোকিত হৃদয়ের মানুষ করে তুলতে সব রকম উদ্যোগ নিয়ে চলেছি। সে জন্য আমরা সুসংবাদ ও ইতিবাচক খবর দিই। আশা-আনন্দের খবর দিই। তরুণদের মানসিক উৎকর্ষের জন্য আমরা প্রকাশ করি মাসিক কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা চলতি ঘটনা। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভাবনা জোগাতে বের করি ত্রৈমাসিক প্রতিচিন্তা

সারা বছর ধরে শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং বিজ্ঞানের সেরা উদাহরণগুলো তুলে ধরি। আমরা বাংলাদেশের অর্জনগুলোকে, বিজয়ের খবরগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করি। কারণ, আমাদের সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো, সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজয়।

ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতে বাংলাদেশ। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।

এইভাবে ‘যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো’—এই কথার সঙ্গে আমরা বলতে থাকি, ‘ভালোর সাথে/আলোর পথে/প্রথম আলো’। একটা গাছকে জানালার পাশে রাখলে তা আলোর দিকে ঝুঁকে যায়। মানুষও তেমনি ভালোর সাথে, আলোর পথে চলতে চায়—এই হলো আমাদের বিশ্বাস। প্রিয় পাঠক, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী, দেশের সব ভালো কাজে আপনাদের আমরা পাশে চাই।

পাঁচ.

আমাদের প্রিয় পাঠক, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাদের বিশ্বাসকে বাস্তবে প্রমাণ করেছেন। তা না হলে কেন প্রথম আলো দেশের সেরা কাগজ হবে? কেন প্রথম আলো ডটকম সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বাংলা পোর্টাল হবে? দুই শতাধিক দেশ থেকে বাঙালি পাঠকেরা প্রথম আলো পাঠ করেন। প্রথম আলোর প্রতি আপনাদের আস্থা আছে, তা না হলে কেন প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের লাইক কিংবা অনুসারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়াবে? কেন লক্ষকোটি পাঠক প্রতিদিন প্রথম আলোর কাগজ, প্রথম আলো অনলাইন, ই-প্রথম আলোর সঙ্গে থাকবেন? আমরা যে গণিত অলিম্পিয়াড করি, বিজ্ঞান মেলা করি, আমরা যে বর্ষসেরা বই ও ক্রীড়া পুরস্কারের আয়োজন করি—সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের সমর্থনে। আমরা সেরা শিক্ষক ও সেরা প্রকৌশলীদের সম্মাননা দিই। সেরা সংস্কৃতিসেবীদের জন্য মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠান করি। আমরা যে প্রথম আলো ট্রাস্টের মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই, অদম্য মেধাবী বৃত্তি দিই, অ্যাসিড-সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াই, মাদককে ‘না’ বলি, সবই সম্ভব হচ্ছে আপনাদের সমর্থনের কারণে। এই করোনাকালে কোটি টাকার বেশি ত্রাণসাহায্য পৌঁছানো হয়েছে, বন্ধুসভার শত কর্মী সেসব নিয়ে ছুটে গেছে আম্পান ও বন্যাদুর্গত অসংখ্য মানুষের কাছে—এর সবই হয়েছে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদান থেকে। আপনাদের এই সমর্থন থেকে আমরা সাহস পাই।

এসব পত্রিকার কাজ নয়, কিন্তু আমাদের অন্তরের কাজ, হৃদয়ের আহ্বানে করা কাজ। পত্রিকা যদি হয় মানুষের জন্য, সেই মানুষের জন্য কাজ। ঠিক এখানেই আমরা একটি পত্রিকা হয়েও পত্রিকার চেয়ে একটু বেশি। আমাদের সব প্রচেষ্টা তো একটি হৃদয়বান মানবিক প্রতিষ্ঠানই হয়ে ওঠার।

ছয়.

চলমান করোনার দুঃসময়েও আমরা প্রথম আলোর অনলাইন এবং ছাপা প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছি। প্রায় সাড়ে তিন মাস (১০৬ দিন) পত্রিকা ও অনলাইনের সব কাজ বাসা থেকে করেছি। এজেন্ট-হকার ভাইয়েরা তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, আপনারা, আমাদের সব পাঠক আস্থা রেখেছেন প্রথম আলোয়। ফলে আমাদের প্রচারসংখ্যা দ্রুতই আগের জায়গায় ফিরছে। আমাদের শুভানুধ্যায়ী বিজ্ঞাপনদাতারাও আমাদের পাশে আছেন।

এইভাবে ‘যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো’—এই কথার সঙ্গে আমরা বলতে থাকি, ‘ভালোর সাথে/আলোর পথে/প্রথম আলো’। একটা গাছকে জানালার পাশে রাখলে তা আলোর দিকে ঝুঁকে যায়। মানুষও তেমনি ভালোর সাথে, আলোর পথে চলতে চায়—এই হলো আমাদের বিশ্বাস। প্রিয় পাঠক, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী, দেশের সব ভালো কাজে আপনাদের আমরা পাশে চাই।

প্রথম আলোর প্রতি আপনাদের এই আস্থা আমাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ভালোর পাশে আছে। বাংলাদেশের মানুষ বস্তুনিষ্ঠ খবর চায়। অনলাইনে কত কিছু পাওয়া যাচ্ছে, কত কত ফেক নিউজ, এখনই তো দরকার আসল খবরের, সে জন্য পাঠকেরা আস্থা রাখছেন পেশাদার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর, প্রথম আলোর ওপর। সে জন্য আমরা বলি, এখনই সঠিক সাংবাদিকতা করার সময়। সময়টা যখন ধূসর, হতাশা যখন চেপে বসতে চায়, সত্য যেখানে মিথ্যার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে, তখনই সঠিক তথ্য তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। সে জন্য আমরা প্রতিনিয়ত প্রথম আলোকে আরও ভালো, আরও আধুনিক জীবনঘনিষ্ঠ সংবাদ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে সচেষ্ট রয়েছি। কারণ, আপনারা আস্থা রাখেন আলোয়। আমরাও ‘আস্থা রাখি আলোয়’।

এটাই এবারের আমাদের কথা, আসুন, আমরা ‘আস্থা রাখি আলোয়’। এই আলো তথ্যের আলো, সত্যের আলো, মানবিকতার ও প্রগতির আলো। যখন বলছি আস্থা রাখি আলোয়, তখন ঠিকই দেখতে পাচ্ছি, অতিমারির অন্ধকার কেটে ধীরে ধীরে ভোরের আলো ফুটে উঠছে দিগন্তে।

আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ পরাজিত হয় না। নিশ্চয়ই ২০২০-এর নভেম্বরের চেয়ে ২০২১-এর নভেম্বর অনেক বেশি আলোকিত হবে। মানুষ সুসময় আনবে, সুদিন আসবে। আলোকিত দিন আসবে, প্রথম আলো সেই আলোকযাত্রায় আপনাদের পাশে থাকবে। সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে এবং বিনয়ের সঙ্গে। আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই।

আপনাদের সবার ভালো হোক। আপনারা সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন।


মতিউর রহমান
: সম্পাদক, প্রথম আলো