বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আজ আদালতে আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, সব আইনি বাধ্যবাধকতা শেষ করে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। এ মামলা বিচারিক আদালতে আসার পরই যেন কার্যক্রম শুরু করা যায় এ জন্য একটা প্রসিকিউশন টিম ঠিক করে রাখা হয়েছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর কিছু ফরমালিটিজ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফরমালিটিজগুলো যত শিগগির সম্ভব শেষ করে আগামী সোমবারের মধ্যে প্রসিকিউশন টিমকে এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের প্রথম সময়টা হচ্ছে ৯০ দিন, তারপর সময় দেওয়া হয় ৩০ দিন। মোট ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে তৃতীয়বার ১৫ দিন সময় পাবে। অর্থাৎ মোট ১৩৫ দিনে বিচারকাজ শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে চারজন পলাতক আছেন। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ১৩ জনের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা হলেন ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক চারজনের মধ্যে জিসান, তানিন ও মোর্শেদের নাম মামলার এজাহারে আছে। এজাহারের বাইরে আরেক আসামি রাফি।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।