বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সন্দেহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে গতকাল রোববার চকবাজার থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রত্যকেই বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান, সিই বিভাগ (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), অনীক সরকার (১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাজ, মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) , জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ)।
গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা আবাসিক হলের নিজ কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর রাতে হলে খবর ছড়ানো হয়, ‘শিবির’ সন্দেহে আবরারকে পেটানো হয়েছে। যদিও গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় আবরারের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।