শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না—এ বক্তব্য হাস্যকর। এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর নেই। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে বিল পাসের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১ পাসের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কে কাকে আন্দোলনের ভয় দেখায়। আওয়ামী লীগ সারা জীবন আন্দোলন করেছে, আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। বিএনপির উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারা আন্দোলন করবে, যারা জনসম্পৃক্ততাহীন, জনবিরোধী, মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত। জনগণ এই সরকারের সঙ্গে আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জরিপের উল্লেখ করে একজন সদস্য বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকে। জনপ্রতিনিধিদের কারণেই যেসব কলেজে অবকাঠামো নেই, যোগ্য শিক্ষক নেই সেখানেও অনার্স, মাস্টার্স খুলতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা এ ক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী। তিনি বলেন, ভালো কলেজগুলো ছাড়া সব জায়গায় অনার্স–মাস্টার্স থাকবে না।
আলোচনা শেষে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়। কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষায় এবং দেশে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে এ বিল পাস করা হলো। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিলটি পাসের জন্য তুললে সংসদে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শিারমিন চৌধুরী।
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতীব প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।’