রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর ও ভাটিয়াপাড়া রেলপথে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মেইল ট্রেন চালু হয়েছে। এ দুটি রেলপথে আন্তনগর ট্রেন বন্ধ করে নতুন এ সেবা চালু করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হলো।
রাজবাড়ী থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মেইল ট্রেন ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এটি পাঁচুরিয়া, খানখানাপুর, বসন্তপুর, আমিরাবাদ যাত্রাবিরতি দিয়ে ফরিদপুর পৌঁছাবে ৮টা ৫০ মিনিটে। ভাড়া ১৫ টাকা। সেখান থেকে ট্রেনটি ছেড়ে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পৌঁছাবে।
এ দিকে, রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ভাটিয়াপাড়ার উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যাবে। সূর্যনগর, বেলগাছি, কালুখালী, রামদিয়া, বহরপুর, আড়কান্দি, নলিয়াগ্রাম, মধুখালী, ঘোড়াখালী, সাতৈর, বোয়ালমারী, সহস্রাইল, বেসপুর, কাশিয়ানী রেলস্টেশন হয়ে ট্রেনটি বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ভাটিয়াপাড়া পৌঁছাবে। ভাড়া ৪২ টাকা। ২৫ মিনিট পর ট্রেনটি রওনা হয়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছাবে।
রাজবাড়ী স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেলপথের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। ১৯৯৮ সালে রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে ফের পরীক্ষামূলকভাবে রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেলপথ চালু করা হয়। এরপর থেকে এই পথে প্রতিদিন একটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করত। ট্রেনটি শুধু রাজবাড়ীর পাঁচুরিয়া রেল জংশন ও ফরিদপুরের আমিরাবাদে থামত।
এ দিকে, রাজবাড়ীর কালুখালী রেলস্টেশন থেকে ভাটিয়াপাড়ার দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। ১৯৯৭ সালের আগস্টে রেলপথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর রেলপথটি পুনরায় চালু হয়।
রাজবাড়ী রেল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতা আবুল কালাম বলেন, ‘রাজবাড়ী থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ ব্যবসা, চাকরি ও চিকিৎসার কাজে ফরিদপুর যাতায়াত করেন। এ কারণে আমাদের দাবি ট্রেনটি বিকেলে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত চলাচল করুক। এতে অনেক যাত্রী নিরাপদে ও কম টাকায় রাজবাড়ীতে ফিরে আসতে পারবেন।’
রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী (পাকশী) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেইল ট্রেন চালু করা হয়েছে। বিকেলে ট্রেনটির আবার ফরিদপুর যাওয়া ও ফিরে আসার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় আছে।