আনন্দ-উল্লাসে কাটল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

ছেলেদের পরনে রংবেরঙের টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি, মেয়েদের পরনে রংবেরঙের শাড়ি। কেক কেটে, নেচে-গেয়ে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে রঙিন আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করে দিবসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান। এ ছাড়া নানা রঙের বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড়, ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় শোভাযাত্রা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রংবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিনা মূল্যে রক্তদান ও রুক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘বাঁধন’।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান পর্যায়ক্রমে সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টির স্থান, যা ধারণ করে বিতরণ করতে হয়। এতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার পূর্ণাঙ্গতা লাভ করতে পারে।
মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খান ও অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহা. আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।