বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ বুধবার। বৌদ্ধধর্মমতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন।
বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ—এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে পরিচিত।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধধর্মের নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে এবারের বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্যাপনের আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে সাধারণত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিবিধ পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। তবে এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদ্যাপন করা হবে বলে ধর্মাবলম্বীরা জানান।
দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রার্থনা সভা হবে বলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার মন্দিরে বাইরের কোনো লোককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ভক্তদের উপস্থিতিও সীমিত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।