রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে চলাচলকারী বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’-এর চুয়াডাঙ্গা, দর্শনাসহ চারটি স্টেশনে যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার থেকে উভয় পথের যাত্রীরা এসব রেলস্টেশন থেকে ওঠানামা করতে পারবেন।
অন্য দুটি স্টেশন হচ্ছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও যশোরের ঝিকরগাছা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আন্তনগর নতুন এই ট্রেনের যাত্রাবিরতির মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গাসহ পাশের ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলাবাসী এবং দর্শনা পথে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
এই বিষয়ে রেলের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার পর বিরতিহীনভাবেই ঢাকায় যেতে পারবেন এবং ঢাকা থেকে উঠে বিরতিহীনভাবে ফিরতে পারবেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা সময় (রানিং টাইম) রাখা হয়েছে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। এই সময় একই পথে চলাচলকারী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় এক ঘণ্টা কম। বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রীরা আরও কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ জুলাই দুপুরে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিরতিহীন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামের এই নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন। সেই দিন থেকে ১২টি বগির ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন বেনাপোল-ঢাকা পথে চলাচল করে। ঢাকা অভিমুখে প্রতি বুধবার এবং ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। ট্রেনটির মোট আসন ৮৭১টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৭৬৮টি, এসি (শীতাতপনিয়ন্ত্রিত) চেয়ার ৮০টি ও এসি কেবিনে চেয়ার ২৩টি।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য মোট ১১০টি আসন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৯২টি, এসি কেবিনে চেয়ার ৮টি ও এসি চেয়ার ১০টি। ফিরতি পথে (ঢাকা থেকে) এসি বার্থ চারটি (ডাবল কেবিন), এসি চেয়ার ১০টি ও শোভন চেয়ার ৭০টি। এ ছাড়া দর্শনা থেকে ঢাকাগামী ও ফিরতি পথের যাত্রীদের জন্য শোভন ৭০টি ও এসি চেয়ার ৫টি রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ট্রেনটি ঢাকায় যাওয়ার পথে ছাড়ার সময় বেলা ৩টা ২৬ মিনিটে এবং ফিরতি পথে ঢাকার কমলাপুর থেকে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে সকাল ৬টা ৮ মিনিট চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছাবে।