আগের চেয়ে নিরাপদ বোধ করছেন জার্মানি ও ইইউর রাষ্ট্রদূত

সরকারের নেওয়া বাড়তি নিরাপত্তার কারণে রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় বসবাস ও চলাফেরার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করছেন জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতেরা। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজ ও ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমে পিয়েরে মায়াদু এবং পরে টমাস প্রিনজ পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেন। দুই রাষ্ট্রদূতই সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ আসেনি।
জানতে চাইলে পিয়েরে মায়াদু বলেন, ‘আজকের (মঙ্গলবার) আলোচনায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ আসেনি। মূলত আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কমিশনের বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
টমাস প্রিনজ বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়নি। মূলত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের এবং আগামী বছরের প্রথমার্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর জার্মানি সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, জাতিসংঘসহ প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সরকারের নেওয়া বাড়তি পদক্ষেপের পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট—জানতে চাইলে পিয়েরে মায়াদু বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় আমরা বিভিন্ন সময়ে তাদের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে আমাদের বসবাস ও চলাফেরায় ওই এলাকায় আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করছি।’
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের অবহিত করেছেন। বিদেশিদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে টমাস প্রিনজ বলেন, ‘আমাকে আগের চেয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। তবে আমি এখনো অনেক নিরাপদ বোধ করছি। আমাকে আমার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হয়নি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুই হত্যাকাণ্ড তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবে বলে আমি মনে করি।’