ভারতের সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত গেয়েছিলেন, ‘আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়, একটু বর্ষা, একটু গ্রীষ্ম, একটুখানি শীত।’ আমরা যারা রাজধানীর বাসিন্দা, তাদের জানলা দিয়ে এমন আকাশ দেখার সুযোগ কি খুব বেশি মেলে? কর্মব্যস্ত জীবনে দিনের বেশির ভাগটা কাটে কর্মস্থলে। আর সেই কর্মস্থলের বেশির ভাগ ভবনই সুউচ্চ। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের শীতলতা, কাচের দেয়াল অথবা ভারী পর্দায় ঢাকা।
ঢাকার মতিঝিল, পল্টন, কারওয়ান বাজারের অফিসপাড়াগুলোয় গায়ে গা লাগানো উঁচু ভবনের ছড়াছড়ি। এসব ভবনের দেয়ালজুড়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের চৌকো বাক্স। ভবন থেকে বের হলেই গরম হাওয়ার ধাক্কা। ভেতরে হিমশীতল। এসব ভবনের ভেতরের আবহ পাশ্চাত্যের দেশের সুউচ্চ ভবনের আদলেই তৈরি। তবে এ ধরনের ভবন কি আমাদের দেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজনের উপযোগী?
একেক দেশের আবহাওয়া, অবস্থান, লোকসংখ্যা ও প্রয়োজন একেক রকম। কিন্তু সুউচ্চ, আকাশছোঁয়া ভবনগুলো বেশির ভাগ দেশে প্রায় একই রকম। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আদলে আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ করেছে।
সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে আকাশচুম্বী অট্টালিকা নিয়ে চীনের নতুন ভাবনার কথা উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে স্থাপত্যবিষয়ক ইতিহাসবিদ জুডিথ ডুপরে আকাশচুম্বী অট্টালিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জুডিথ ডুপরে স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে কাজ করেন। নিউইয়র্ক টাইমসে স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে তাঁর লেখা বেশ জনপ্রিয়।
আকাশচুম্বী অট্টালিকার স্বর্ণযুগ শুরু হয় ৯০ বছর আগে। মানুষ কখনো কল্পনাও করেনি—এমন সব আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ হতে থাকে একের পর এক। ১৯৩০–এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত দ্য ক্রাইসলার ভবন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু।
আকাশচুম্বী অট্টালিকার দ্বিতীয় স্বর্ণযুগ ছিল গত ২০ বছর ধরে। তবে এ সময়ের পর থেকে এই ধরনের ভবন নির্মাণের কাজ ধীরগতিতে চলতে থাকে। সুউচ্চ ভবনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিশ্বে আকাশচুম্বী অট্টালিকার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। আর আকাশচুম্বী অট্টালিকার সংখ্যা কমে আসার এ হার সবচেয়ে প্রকটভাবে দেখা গেছে চীনে।
নাইন–ইলেভেনে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণের কাজে কিছুটা বদল আসে। গত ২০ বছরে আগের শতকের তুলনায় অনেক বেশি আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। টুইন টাওয়ারে হামলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এগুলো আরও বেশি নিরাপদ, মজবুত ও সবুজায়ন করে নির্মাণ করা হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ নিজেদের আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে এসব আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ করেছে। পেট্রোনাস টাওয়ার যেমন কুয়ালালামপুরকে পরিচিত করেছে, তেমনি বুর্জ খলিফা দুবাইকে নতুনভাবে আলোচনায় এনেছে। সৌদি আরবের জেদ্দা টাওয়ারও সুপরিচিত হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে আকাশছোঁয়া ভবন সংখ্যায় যতটা বেড়েছে, ততটা পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে নির্মাণ করা হয়নি। দেশের অবস্থান ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে ভবন নির্মাণের ভাবনা শুরুর কথা জানিয়েছেন কামরান মোয়াজামি। তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রকৌশলবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএসপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শতাধিক কার্যালয় রয়েছে। কামরান মোয়াজামি বলেন, কোন ধরনের আর্থিক পরিস্থিতিতে কোন ধরনের ভবন নির্মাণ বেশি সুবিধাজনক, তা খুঁজে বের করাটা জরুরি। সাড়া জাগাতে দুবাইয়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা যতটা প্রয়োজন, আকাশছোঁয়া ভবনের জন্য সুপরিচিত শহর সাংহাই বা ম্যানহাটনের জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণ ততটা জরুরি নয়। সুউচ্চ ভবনগুলোর মূল্যায়ন এখন কেবল বাহ্যিক বা কাঠামোগত অবকাঠামো দিয়ে বিচার করা হয় না; বরং এর সঙ্গে পরিবেশের বিষয়ও জড়িত থাকে।
নিজ দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আকাশছোঁয়া ভবন নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু করেছে চীন। বিশ্বে ৯৮৪ ফুটের বেশি উঁচু ১১৫টি ভবনের মধ্যে চীন নির্মাণ করেছে ৮৫টি। কিন্তু অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে, সুউচ্চ ভবন নির্মাণের বিশাল ব্যয় সংকুলান করতে এবং করোনা–পরবর্তী পরিস্থিতি অনুসারে চীন এ ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়েছে।
২০২০ সালে চীনা সরকার আকাশচুম্বী ভবনগুলোর নকশা ও নির্মাণবিধিতে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। চীন সরকার আইফেল টাওয়ার এবং ক্রেমলিনের আদলে ভবন নির্মাণকে নিরুৎসাহিত করেছে। ওই বছরের জুলাই মাসে বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়। ৫০০ মিটারের বেশি উঁচু নতুন ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবনগুলো ২৫০ মিটারের বেশি উঁচু না করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চীনের যেসব শহরে ৩০ লাখের কম বাসিন্দা রয়েছে, সেসব শহরে ১৫০ মিটারের বেশি উঁচু ভবন নির্মাণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। এতে চীনে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণকারী পশ্চিমা স্থাপত্য সংস্থাগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
চীনে পাঁচটি আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার স্মিথ বলেন, চীন এমন অনেক আবাসিক ভবন, অফিস, স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ করেছে, যার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। চীনের সরকার বুঝতে পেরেছে, অর্থনৈতিক প্রয়োজন মাথায় রেখেই আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ করতে হবে। আকাশচুম্বী ভবনে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হয় না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বদল এনেছে শহুরে জীবনে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের অন্যতম আবাসন প্রতিষ্ঠান আরএক্সআরের প্রধান নির্বাহী ও সভাপতি স্কট রেচলার বলেন, আকাশচুম্বী ভবন ও কার্যালয়গুলোর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বদ্ধ পরিবেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভবনের কাঠামো নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু হয়েছে। রেচলার বলেন, একুশ শতকের চাহিদা অনুসারে আকাশচুম্বী ভবনের কাঠামো সাজাতে হবে। এখন কর্মস্থলে কম মানুষের জন্য বেশি জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে। ভবনগুলোয় খোলা জায়গা বেশি রাখতে হবে, যেখানে সূর্যের আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ম্যানহাটনের সিটি ক্লাইম্ব ভবনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ৩৮৭ মিটার উঁচু এই ভবনে প্রচুর খোলামেলা জায়গা রয়েছে। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খোলামেলা ভবন বলা হয়।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন নিজেদের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত অবস্থা বিবেচনা করে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ নিয়ে কাজ করছে, তখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন। রাজধানীতে তো বটেই, এমনকি রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরেও দিন দিন বাড়ছে সুউচ্চ ভবনের সংখ্যা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এলাকায় বেশির ভাগ বহুতল ভবন (১০ তলার ওপর) হয়েছে গত এক থেকে দুই দশকের মধ্যে। এমন ভবনেও নকশার ব্যত্যয় আছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর রাজউক এলাকার বহুতল ভবনের ওপর পরিচালিত জরিপে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই জরিপ বলছে, রাজউক এলাকায় ১ হাজার ৮১৮টি বহুতল ভবন আছে, যার ৮৪ শতাংশই নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আমাদের জনসংখ্যা ও আবহাওয়া অনুসারে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ কতটা প্রয়োজন। ভবনের কাঠামোই–বা কেমন হওয়া দরকার। স্থপতি ও পরিবেশকর্মী ইকবাল হাবিব জানালেন সে কথা।
ইকবাল হাবিব বলেন, চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেই অর্থে বাংলাদেশে আকাশছোঁয়া ভবন নেই। তবে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ তলার ওপরে গেলেই সেটিকে সুউচ্চ ভবন বলা যায়। প্রতিটি দেশে বা শহরে ভবনের পরিকল্পনা নিজের দেশের প্রয়োজনকেই মাথায় রেখে করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। আর এ ক্ষেত্রে নির্মাণকৌশলের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপকরণের ওপর জোর দিতে হবে। যেমন আমাদের দেশের মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানীমুখী। এত বেশি মানুষের স্থানসংকুলানের জন্য আমাদের সুউচ্চ ভবনের দিকে যেতেই হবে। কারণ, এতে জায়গা কম লাগবে। তবে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো ভবনগুলো পরিকল্পনামাফিক ও পরিবেশবান্ধব করে নির্মাণ করা। এ জন্য সুউচ্চ দুটি ভবনের মাঝে কিছুটা ফাঁকা সবুজ জায়গা রাখার ওপর জোর দেন ইকবাল হাবিব।
আমাদের আবহাওয়ার উপযোগী করে ভবনগুলোর অবকাঠামো তৈরির ওপরও জোর দিলেন ইকবাল হাবিব। তাঁর মতে, ভবনগুলো এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস চলাচল করতে পারে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে। আমরা পাশ্চাত্যের অনুকরণে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করছি। বাড়াচ্ছি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার। এতে আশপাশের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বাড়তি তাপ বাইরে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে বিদ্যুতের ব্যবহারও বেশি হচ্ছে। সুউচ্চ ভবনের তাপমাত্রা শীতল রাখতে গিয়ে আমরা তাপ ছড়িয়ে দিচ্ছি চারপাশে। এতে যাঁরা সুউচ্চ ভবনের বাসিন্দা নন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেসব সাধারণ জনগোষ্ঠী। তাই ভবন নির্মাণের সময় নিজের দেশ বা শহরের প্রয়োজন ও পারিপার্শ্বিকতার বিষয়টি বিবেচনা করাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই স্থপতি।
পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণে জোর দিচ্ছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরাও। জাতিসংঘের ইন্টারগর্ভমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) প্রতিবেদন বলছে, ভবনের অবকাঠামো, আবাসন পরিকল্পনা ও গায়ে গা লাগানো ভবনের কারণে সবুজ কমে যায়। এটি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এ কারণে গ্রামের চেয়ে শহরে তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি বেশি হতে পারে। যেমন ইরানের তেহরান বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আশপাশের এলাকার চেয়ে তাপমাত্রা বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও, নিউইয়র্ক সিটি এবং শিকাগোতেও আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণ নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব আকাশছোঁয়া ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কম খরচে ভবনগুলোকে আরও বেশি বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানোর চিন্তা চলছে।
চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেই অর্থে বাংলাদেশে আকাশছোঁয়া ভবন নেই। তবে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ তলার ওপরে গেলেই সেটিকে সুউচ্চ ভবন বলা যায়। প্রতিটি দেশে বা শহরে ভবনের পরিকল্পনা নিজের দেশের প্রয়োজনকেই মাথায় রেখে করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। আর এ ক্ষেত্রে নির্মাণকৌশলের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপকরণের ওপর জোর দিতে হবে।ইকবাল হাবিব, স্থপতি ও পরিবেশকর্মী
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরকৌশল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের অধ্যাপক মো. রবিউল আওয়ালও জোর দিলেন কোনো দেশ বা শহরের প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে ভবন নির্মাণের ওপর। নিজ শহরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরেও উঁচু ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। যেমন রাজশাহীতে পুরোনো দুইতলা বা তিনতলা ভবন ভেঙে গড়ে তোলা হচ্ছে ছয়তলা, আটতলা বা দশতলা ভবন। তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি। জমি কম। রাজশাহীতেও ১০ বছর আগের তুলনায় জনসংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। কর্মসংস্থানের জন্য মানুষ যেমন বিভাগীয় শহর থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে, তেমনি আবার গ্রাম থেকে আসছে তুলনামূলক বেশি উন্নত শহরগুলোয়। পরিবহনব্যবস্থা আরও ভালো হলে বা কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে হয়তো গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষ কমানো সম্ভব হতো। আপাতত সুউচ্চ ভবন নির্মাণের বিকল্প নেই। তবে সেগুলো করতে হবে ভবন নির্মাণ আইন অনুসারে। দুটি ভবনের মাঝে ফাঁকা জায়গা রাখলে সেগুলো পরিবেশবান্ধব করা যায়। আমাদের রোদ–বাতাসের কোনো অভাব নেই। আমাদের আবহাওয়ায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহারের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। তাই ভবনগুলোয় আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে সবুজায়ন।