রংপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরের পান্ডারদিঘি এলাকায় নাগরিকদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আয়োজনে এই সভা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশেক আলী। এতে প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ও রংপুর পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক। অন্যান্যের মধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষে ব্যবসায়ী খতিবর রহমান বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকার জনগণকে সজাগ হতে হবে। কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। ছিনতাইকারী, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিন।’
রাত ১২টার পর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ এবং ফুটপাতে চায়ের দোকানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা-সুবিধা, ঢাকা থেকে বাসযাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে নেমে ও রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাত্রীরা কোনো যানবাহনের সুবিধা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে অটো ও রিকশা চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ূন কবীর জানান, শহরের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এখননো পুলিশ চেকপোস্ট রয়েছে। এই সাতটি পয়েন্ট হলো: নগরের সাতমাথা, মেডিকেল পূর্বগেট, নজিরের হাট, পার্কের মোড়, ডিসির মোড়, হাজিরহাট, সাহেববাজার। এসব এলাকা হলো শহরের প্রবেশপথ। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ টহলে রয়েছে পুলিশ।
গত ২৫ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছিনতাইকারীরা’ এবং ২৭ আগস্ট ‘রংপুরে হাত বাড়ালেই মাদক’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশের সাঁড়াশি আভিযান শুরু হয়। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে আইনশৃঙ্খলা ও মাদকবিরোধী মতবিনিময় সভা হচ্ছে।