অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আজ সোমবার দুপুরের দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে সাহেদকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণার জন্য আদালত বসার আগে তাঁকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারাগার থেকে আদালতে আনার সময় সাহেদের হাতে হাতকড়া ও মাথায় হেলমেট দেখা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ গত ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছিলেন।
এই মামলায় গত ২৭ আগস্ট সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। পরে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাহেদের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়।
গত ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিনের মাথায় ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরদিন ১৬ জুলাই সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও মাদক উদ্ধার করে। ৩০ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯ আগস্ট অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাহেদের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। নিশান গাড়ির ভেতরে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১০ সালে ঢাকার একটি আদালত সাহেদকে ছয় মাসের সাজা দেন। উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা আছে। এ ছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।