দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নৈতিকতার ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষকদের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব মনে করে না। এর মধ্যে প্রাথমিকে অর্ধেক, মাধ্যমিকের দুই-তৃতীয়াংশ এবং উচ্চশিক্ষা স্তরের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী এটি মনে করে। প্রায় অর্ধেক শিক্ষকও নিজেদের আদর্শ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন না।
এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘বিদ্যালয়ে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: শিক্ষায় প্রাণের উজ্জীবন’ শীর্ষক এই গবেষণাটি করেছে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা এনজিওদের মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০১৭’ নামে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি ১৯৯৯ সাল থেকে শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবছর এডুকেশন ওয়াচ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।
গতকাল প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন গবেষক দলের প্রধান মনজুর আহমেদ।
শিক্ষকদের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ১০ লাখ মানুষ শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। এই সংখ্যা আগামী এক দশকে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা শ্রেণিকক্ষ ও বাইরে লাখ লাখ শিশু-কিশোরের জীবনকে স্পর্শ করেন। যদি শিক্ষকদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজনও দৃঢ়তা, প্রেরণা ও নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে শিক্ষার্থীদের পথ দেখান, তাহলে বড় পরিবর্তনের সূচনা হবে।
প্রতিবেদনে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুপারিশও করা হয়।
গণসাক্ষরতা অভিযানের চেয়ারপারসন কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ডিএফআইডির বাংলাদেশের প্রধান জানে এডমনসন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী প্রমুখ।