নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী শুক্রবারের মধ্যে সব ধরনের অবৈধ নির্বাচনী প্রচার উপকরণ অপসারণের নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার এবং সিটি ও পৌর প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে আজ ইসি সচিবালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসি সচিবালয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ। সে জন্য আগামী সাত দিনের মধ্য জেলা, উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় যেখানে পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ এবং আলোকসজ্জা আছে, সেগুলো অপসারণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পৌরসভার মেয়রদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী যদি তাঁর প্রচার উপকরণ অপসারণ না করেন তবে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচিব বলেন, সারা দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় স্থানীয় বিভাগীয় কমিশনারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার-ভূমি এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ৫৮০ জনের মতো সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারবেন। এর আগ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। এ বিষয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে আজ চিঠি পাঠানো হবে।
যেসব জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে চায়, তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য আগামী তিন দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে বলে সচিব জানান। তিনি বলেন, অনিবন্ধিত কোনো দল নিবন্ধিত কোনো দলের সঙ্গে জোটগতভাবে সংসদ নির্বাচন করতে চাইলে ইসির কিছু করার থাকবে না। এই বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
হেলালুদ্দীন বলেন, আগামী রোববার থেকে অনলাইনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। প্রার্থীরা চাইলে অনলাইন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করতে পারবেন।