সংসদ সদস্যপদ রক্ষার জন্য আর আইনি লড়াই করবেন না সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। নিজেই সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এ জন্য স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন।
আজ রোববার সকালে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানি শেষে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনে শুনানি স্থগিত চেয়ে লতিফ সিদ্দিকীর করা আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নির্বাচন কমিশনে যেতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১টার দিকে ইসির শুনানিতে হাজির হন তিনি।
শুনানি শুরু হলে লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনকে বলেন, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন। তাই শুনানির আর প্রয়োজন নেই। এরপর নির্বাচন কমিশন দুই সপ্তাহের জন্য এ বিষয়ের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন।
ইসি থেকে বেরিয়ে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু আমার নেত্রী চান না আমি সংসদে থাকি তাই আমি নিজেই পদত্যাগ করব। এ নিয়ে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে আমি কমিশনকে বলে এসেছি।’ হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে তাঁর মন্তব্য খণ্ডিত ভাবে এসেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী।
দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেওয়া হয়। এ জন্যই বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য ইসিতে আজ তাঁকে ডাকা হয়। দলের পক্ষ থেকে শুনানিতে অংশ নিতে সেখানে আসেন দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদসহ পাঁচ কমিশনারই উপস্থিত ছিলেন।
ইসির এই শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকী রিট করলে গত বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে ওই দিনই লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল নিয়ে চেম্বার আদালতে যান। চেম্বার আদালত আজ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলীগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করায় লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব যায়। একই সঙ্গে নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। দল থেকে বহিষ্কারের পর লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা মীমাংসার জন্য গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও জানতে পড়ুন
হাইকোর্টে খারিজের পর আপিল বিভাগে গেলেন লতিফ সিদ্দিকী