অন্য রকম এক প্রার্থী

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে দুই শিল্পপতির সঙ্গে ব্যতিক্রমী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দোকান–কর্মচারী দেলওয়ার হোসেন। গণমানুষের সহযোগিতায় ভোট করছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এই প্রার্থী। সদর উপজেলার গবার মোড়ে, শনিবার দুপুরে। প্রথম আলো
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে দুই শিল্পপতির সঙ্গে ব্যতিক্রমী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দোকান–কর্মচারী দেলওয়ার হোসেন। গণমানুষের সহযোগিতায় ভোট করছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এই প্রার্থী। সদর উপজেলার গবার মোড়ে, শনিবার দুপুরে।  প্রথম আলো

একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে লড়ছেন দুই শিল্পপতিসহ মোট আটজন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে এক প্রার্থী দোকানে কাজ করেন। নাম তাঁর দেলওয়ার হোসেন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে হাতমাইকে ভোট চাইছেন তিনি। নির্বাচনের খরচ সংগ্রহে লোকজনের কাছে চাইছেন সহায়তা।

দেলওয়ার হোসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী। তাঁর প্রতীক কাস্তে। দেলওয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আক্কাস আলী সরকার, আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন, বিএনপির তাসভীরউল ইসলাম। আক্কাস আলী ও তাসভীরউল ইসলাম শিল্পপতি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উলিপুর উপজেলা সদরের গবার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬০ বছর বয়সী দেলওয়ার হোসেন হাতমাইকে কাস্তে প্রতীকে ভোট চাইছেন। তাঁর এই প্রচারণা আগ্রহ নিয়ে দেখছেন পথচারী, দোকানদার, রিকশাওয়ালা, দিনমজুরসহ অনেক মানুষ। নির্বাচনের খরচের জন্য সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের ২, ৫ ও ১০ টাকা করে অর্থ সহায়তা করতেও দেখা যায়।

দেলওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি উলিপুর উপজেলা শহরের একটি বীজের দোকানে কাজ করেন। সেখান থেকে পাওয়া সামান্য বেতনেই চলে সংসার। স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে তাঁর। বাড়ি উপজেলার ধনবাড়ী ইউনিয়নে। সম্পদ বলতে ৬ শতক জমি ও ভিটাবাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া আর কিছু নেই তাঁর। এগুলোই নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৮ বছর ধরে সিপিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। গরিব ও শ্রমিকশ্রেণির অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে যুক্ত তিনি।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণে ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এখন বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। অথচ কুড়িগ্রাম দেশের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকা। সেই জেলার উন্নয়নে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? একমাত্র টেক্সটাইল মিলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। কার স্বার্থে বন্ধ করা হয়েছে? ঢাকায় তো একটাও বন্ধ করা হয়নি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে আদমজী জুটমিল খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু খোলেননি। তাহলে শ্রমিক ভাইয়েরা যাবেন কোথায়?’