নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটিতে নাম না পাঠিয়ে চিঠি দিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। চিঠিতে দলটি বলেছে, নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরে আসবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। তাই ন্যাপ নাম প্রস্তাব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-মেইলে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার সই করা চিঠিটি পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাপ গত ১১ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিয়েছিল। অনুসন্ধান কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে এ বিষয়েরও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। চিঠিতে বলা হয়, ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ন্যাপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপেও নির্বাচন কমিশন গঠনের চেয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা–অর্জন ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেছে। আমরা মনে করি, শুধু নির্বাচন কমিশন দিয়েই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করলেই যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটিও প্রতীয়মান হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রথম আলোক বলেন, ‘আমরা চিঠিতে যে কথাগুলো লিখেছি, একই কথা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপেও বলেছি। আমরা বলেছি, সার্চ কমিটি করেন, আর যা–ই করেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা কিন্তু ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই।’