অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনার টিকা দিতে রিট

হাইকোর্ট।
ফাইল ছবি

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনার টিকা প্রদানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দাখিল করেছেন চার আইনজীবী। তাঁদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীও রয়েছেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ শনিবার ই–মেইলের মাধ্যমে রিটটি দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।

রিট আবেদনকারী অপর তিন আইনজীবী হলেন রাশিদা চৌধুরী, মোহাম্মদ কাউছার ও মো. মোজাম্মেল হক।

অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবী ২৯ জুলাই সরকারের তিন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচ ব্যক্তি বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠান।

ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে আজ শনিবার রিটটি দাখিল করা হয় বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী অন্তঃসত্ত্বা। দীর্ঘদিন ধরে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনোভাবেই টিকা নিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।’

রিট আবেদনকারী আইনজীবীদের ভাষ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ নারী অন্তঃসত্ত্বা হন। অর্থাৎ ৩৫ লাখ অন্তঃসত্ত্বা আরও ৩৫ লাখ মানুষের অস্তিত্ব বহন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, অন্তঃসত্ত্বাদের করোনার টিকা দেওয়া যাবে। গবেষণা অনুসারে, অন্তঃসত্ত্বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। অথচ সরকারের নির্ধারিত করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা অ্যাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন করার জন্য অন্তঃসত্ত্বাদের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।

আইনজীবীরা বলেন, অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাওয়ার অধিকার আছে। এই অধিকার দেশের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকার। তাঁদের অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা নিপীড়নমূলক, বৈষম্যমূলক ও তাঁদের জীবনধারণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে সুযোগ করে দেওয়া সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।