প্রথম আলোর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কর্মীদের কাছে লেখা আহ্বান করা হয়েছিল। তাঁরা লিখেছেন প্রথম আলোকে নিয়েই। কর্মীদের নির্বাচিত কিছু লেখা নিয়েই এ আয়োজন।
অপ্রত্যাশিত চমকে আপ্লুত: প্রথম মাসের কুইজে অংশ নিয়েছিলাম কোনো পুরস্কার প্রত্যাশার দুঃসাহস না করেই। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ করে মানবসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো অভিনন্দন মেইলে প্রথমেই আমার ছবি ও নাম দেখে খুব অবাক হয়েছি, অবিশ্বাস্যও লেগেছে কিছুটা। কারণ, পুরস্কারপ্রাপ্ত সবার মধ্যে আমি একমাত্র সাধারণ বিভাগের কর্মী। সহকর্মীদের কাছ থেকে অনেক অভিনন্দন, প্রশংসা ও উৎসাহ পেয়েছিলাম। কাজে লেগেছিল সেটাই।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে ১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগ সব কর্মীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ কুইজ আয়োজন করেছে সাতবার। প্রতিবারই অংশ নিয়েছি, কখনো হয়েছি প্রথম, কখনো তৃতীয় কখনোবা হয়েছি চতুর্থ। শ্রদ্ধেয় ফিরোজ চৌধুরী, তারেক মাহমুদ, শিশির মোড়ল, মো. আসাদুজ্জামান, মো. সামছুর রহমানসহ আরও স্বনামধন্য সাংবাদিকদের পাশে আমার নামও মানবসম্পদ বিভাগের অভিনন্দন মেইলে ছিল! এই অনুভূতি ছিল অসাধারণ! প্রথম আলোয় ১০ বছরের চাকরিজীবনে যাঁদের সঙ্গে কখনো সামনাসামনি দেখা ও কথা হয়নি, তেমন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ শরিফ, লাজ্জাত এনাব মহছি ও সুমনা শারমীন আপাদের মতো ব্যক্তিত্বরা ফোনে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন! সেসব সম্মানিত স্মৃতি হৃদয়ের মণিকোঠায় চির–অমলিন!
স্নেহ সবুজ দিন
তোমার কাছে ঋণ
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের চূড়ান্ত লড়াই মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের নাগরিক হিসেবে সবারই সেই ইতিহাস জানার দায় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের লেখার ওপর প্রথম আলো কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমি কিছু পুরস্কার পেয়েছি, যা মূল্যবান, সঙ্গে পেয়েছি কিছু নগদ অর্থও, সেটাও মূল্যবান। কিন্তু অমূল্য যেটা পেয়েছি, সেটা হচ্ছে জন্মভূমির জন্ম ইতিহাস শিক্ষা! মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন সুযোগ পেয়েছি প্রথম আলোর মাধ্যমে। প্রথম আলোর রজতজয়ন্তীর এই উষালগ্নে প্রথম আলোকে ধন্যবাদ। ইতিহাস অজ্ঞতার দায়শোধে আমাকে সাহায্য করে এমন চির–অম্লান স্মৃতি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জয়তু প্রথম আলো
শুভ জন্মদিন প্রথম আলো।
মাহমুদুল হাসান
জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (স্টোর, বিতরণ ও প্রশাসন)
প্রশাসন বিভাগ
প্রথম আলো, বগুড়া অফিস