রজতজয়ন্তীর বিশেষ আয়োজন

জীবনযাত্রার বদল ও আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। গত ৫০ বছরে রূপ পেয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো, পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে ক্রমেই। গোড়ার দিকে বিদেশি সহযোগিতানির্ভর হলেও পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দিয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পরিচয়। আলোর মুখ দেখা এসব অবকাঠামো দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত, বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা। দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখা তেমনই সাতটি অবকাঠামোর একঝলক রইল এখানে।

হাতিরঝিল (২০১৩)

ঢাকার হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে উঠেছে ৩০২ একর জমির ওপর। এই প্রকল্প নির্মিত হয়েছে দেশীয় অর্থায়নে। যোগাযোগ, জলাবদ্ধতা দূর, বৃষ্টি ও বন্যাজনিত পানি ধারণ, নগরের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানো এবং সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নে এর ভূমিকা ইতিবাচক
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (১৯৯৮)

যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর জন্য আইডিএ, এডিবি, জাপানের ওইসিএফ প্রত্যেকে ২২ শতাংশ তহবিল সরবরাহ করে এবং বাকি ৩৪ শতাংশ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু দেশের উত্তরের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় রাখছে বড় ভূমিকা

 পদ্মা সেতু (২০২৩)

পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সড়ক ও রেলসেতুটি যুক্ত করেছে মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে তৈরি এই সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার মানুষের যাতায়াত সহজ করে দিয়েছে

মেরিন ড্রাইভ (২০১৭)

প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের পর পর্যটনশিল্পের বিকাশ, দ্রুততম সময়ে কক্সবাজারে যাতায়াত, স্থানীয় লোকজনকে জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি ও ফসলি জমি লবণাক্ততা থেকে রক্ষা এবং তাদের জীবন–জীবিকার পথও সুগম হয়েছে

মেট্রোরেল (২০২৩)

এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। মেট্রোরেল যানজট কমিয়ে যাতায়াতের সময় বাঁচাবে, অর্থনীতিতে ফেলবে ইতিবাচক ভূমিকা, ঢাকার দূষণও কমাবে বলে আশা করে হচ্ছে

দ্রুতগতির উড়ালসড়ক (২০২৩)

প্রকল্পটি ঢাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে, যা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ড ও চীনভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং নির্মাণকাজের মাধ্যমে এই উড়ালসড়কের অংশীদার

বঙ্গবন্ধু টানেল (২০২৩)

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে এই টানেল। সংযোগ সড়কসহ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার