প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিসম্মিলনীতে বক্তব্য দিচ্ছেন সংবাদমাধ্যমটির সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে
প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিসম্মিলনীতে বক্তব্য দিচ্ছেন সংবাদমাধ্যমটির সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে

সত্য তথ্য গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে: মতিউর রহমান

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, সত্য তথ্য গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে, তাতে দেশ এগিয়ে যায়, মানুষের জয় হয়। প্রথম আলো সব সময় সত্য প্রকাশ করে। সারা পৃথিবীতেই সংবাদমাধ্যমকে লড়তে হচ্ছে সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা আদায়ে। ভবিষ্যতেও যেকোনো অবস্থায় সত্য তথ্য প্রকাশের কাজ করে যাবে প্রথম আলো।

প্রথম আলো ছাপা কাগজের পাঠক দৈনিক ৫০ লাখ। প্রথম আলো ডটকম পৃথিবীর এক নম্বর বাংলা ওয়েবসাইট। প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের অনুসারী প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ।

প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত প্রীতিসম্মিলনীতে মতিউর রহমান এসব কথা বলেন। ‘সত্যে তথ্যে ২৪’ আহ্বান নিয়ে প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রথম আলোর এই প্রীতিসমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নারীনেত্রী, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

পাঠকদের সমর্থন নিয়ে প্রথম আলো প্রিন্ট, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে সত্য তথ্য প্রকাশ করতেই থাকবে বলে জানান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম আলো কেবল একটা খবরের কাগজ নয়, সারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সংবাদমাধ্যম। প্রথম আলোর একটাই চাওয়া, একটাই লক্ষ্য—বাংলাদেশের জয়।

মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের কথা। তিনি বলেন, প্রথম আলো ছাপা কাগজের পাঠক দৈনিক ৫০ লাখ। নিয়মিত দেড় কোটি পাঠক নিয়ে প্রথম আলো ডটকম পৃথিবীর এক নম্বর বাংলা ওয়েবসাইট। প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের অনুসারী প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ।

মতিউর রহমান বলেন, প্রথম আলোর এই অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে পাঠকেরা সঙ্গে থাকায়। প্রথম আলো যাচাই–বাছাই না করে কোনো খবর প্রকাশ করে না। সব সময় সত্য প্রকাশের চেষ্টা করে। সারা পৃথিবীতেই সংবাদমাধ্যমকে লড়তে হচ্ছে সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা আদায়ে। এখনই সাংবাদিকতার সময়। এখনই সংবাদমাধ্যমকে তার কাজ করে যেতে হবে, তা হলো সত্য প্রকাশ করা।

প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিসম্মিলনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্টজনেরা । আজ শনিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে
১৯৯৯ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা কীভাবে ‘প্রথম আলো চর’ নামে গড়ে উঠল, সেই গল্প শোনান মতিউর রহমান। সেই চরে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এসেছিল প্রথম আলো ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। দুই দশক ধরে এই চরের জনপদের জীবনের জয়গানের সঙ্গে রয়েছে প্রথম আলো। এই চরে ২০০৪ সালে ‘আলোর পাঠশালা’ স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রথম আলো। দেশের দুর্গত এলাকায় এমন ছয়টি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

পাঠকদের সমর্থন নিয়ে প্রথম আলো প্রিন্ট, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে সত্য তথ্য প্রকাশ করতেই থাকবে বলে জানান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম আলো কেবল একটা খবরের কাগজ নয়, সারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সংবাদমাধ্যম। প্রথম আলোর একটাই চাওয়া, একটাই লক্ষ্য—বাংলাদেশের জয়।

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কাজ উপলক্ষে সম্প্রতি কুড়িগ্রামে ‘প্রথম আলো চর’ এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গিয়েছিলেন মতিউর রহমান। প্রীতিসম্মিলনীর মিলনায়তনের পর্দায় ভেসে ওঠে কুড়িগ্রাম ও কুষ্টিয়া ভ্রমণের গল্প।

দেশে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হলে তারা সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বলে মন্তব্য করেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে থাকে। লালন বলেন, ‘সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন’। বাংলাদেশে সংবাদপত্র সত্য প্রকাশের চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রথম আলো সত্য প্রকাশে অবিচল থাকবে।

১৯৯৯ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা কীভাবে ‘প্রথম আলো চর’ নামে গড়ে উঠল, সেই গল্প শোনান মতিউর রহমান। সেই চরে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এসেছিল প্রথম আলো ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। দুই দশক ধরে এই চরের জনপদের জীবনের জয়গানের সঙ্গে রয়েছে প্রথম আলো। এই চরে ২০০৪ সালে ‘আলোর পাঠশালা’ স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রথম আলো। দেশের দুর্গত এলাকায় এমন ছয়টি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ১৮৬৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’। এই পত্রিকার ছাপাখানায় দাঁড়িয়ে মতিউর রহমান বলেন, ব্রিটিশ প্রশাসন আর জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লেখা হতো। এই সত্য প্রকাশের জন্য পত্রিকাটির বিরুদ্ধে হামলা হতো, আক্রমণ হতো। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড়িয়েছে, লালন সাঁই তাঁর দলবল নিয়ে এসে প্রতিরোধ করেছিলেন। এসব আক্রমণের মুখে গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা বারবার বন্ধ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আর টিকে থাকতে পারেনি। পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামে ‘প্রথম আলো চর’–এ গিয়েছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। সেখানে প্রথম আলো প্রতিষ্ঠিত ‘আলোর পাঠশালা’ স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। ওই চরে প্রথম আলো পরিচালিত কার্যক্রমের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে

দেশে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হলে তারা সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বলে মন্তব্য করেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে থাকে। লালন বলেন, ‘সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন’। বাংলাদেশে সংবাদপত্র সত্য প্রকাশের চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রথম আলো সত্য প্রকাশে অবিচল থাকবে।