ইউল্যাবে শুরু ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব
বড় বড় ক্যামেরা আর অনেক টাকা খরচ না করেও এখন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায়। এসব চলচ্চিত্র দেখে বোঝারও উপায় নেই যে এগুলো মোবাইলে ধারণ করা। মোবাইলে চলচ্চিত্র তৈরি এবং প্রদর্শনের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব। আজ শুক্রবার ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) এই উৎসব শুরু হয়েছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম আসরের উদ্বোধন হয় ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাসে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মতিন রহমান। এ ছাড়া ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মতিন রহমান বলেন, সিনেমাস্কোপের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। এই উৎসব আরও দীর্ঘদিন চলবে, এর ব্যাপ্তি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক—এই আশা করেন তিনি।
ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক বলেন, এই আয়োজন আরও অনেক বড় পরিসরে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এমন আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোগের জন্য তিনি ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো বলেন, সিনেমা তৈরির জন্য বিভিন্ন রকম মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। সেগুলোর অনেক কিছু সম্পর্কে আমরা জানি না। এ ছাড়া সেগুলো অনেক খরচসাপেক্ষ। কিন্তু মোবাইল ফোনেও সিনেমা তৈরি করা যায় এবং তাতে খরচ অনেক কম। সিনেমাস্কোপ এমন একটি সংগঠন, যেটি মোবাইল ফোনের এই উপকারিতা সবার সামনে নতুনভাবে তুলে ধরে। পাঁচ বছর আগে শুরু করা তাদের এই পদক্ষেপ আরও অনেক দূর এগোবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আজ বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত কিছু চলচ্চিত্র দেখানো হয়। এ ছাড়া আজ বিকেলেও নির্বাচিত কয়েকটি চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম আসর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের জমাকৃত চলচ্চিত্র থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। কাল অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য থাকবে ‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম’ পুরস্কার ও ‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার’ পুরস্কার। প্রতিযোগিতার এই আসরে বিশ্বের ৩৪টি দেশ থেকে সর্বমোট ৯৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। উৎসবের পঞ্চম আসরে বিচারকাজ সম্পন্ন করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রবন্ধ লেখক বিধান রিবেরু।