সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি 'স্টার্টআপ বাংলাদেশ' অনুমোদন
স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে সরকারি মালিকানায় প্রথম ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বিশেষ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের কাজকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এই কোম্পানির নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক কোম্পানিটির আইনগত বিষয়সমূহের খুঁটিনাটি যাচাইপূর্বক অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিসভায় কোম্পানিটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
২০১৬ সাল থেকে আইসিটি ডিভিশনের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) শুরু হয়। ইতিমধ্যে স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১২৬টি স্টার্টআপকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
সরকারি মালিকানায় প্রথম ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি থেকে স্টার্টআপ মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সিড স্টেজে সর্বোচ্চ এক কোটি এবং গ্রোথ স্টেজে প্রতি রাউন্ডে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি গঠনের আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন।