বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মনে ধরেছে পাকিস্তানি গতি তারকার
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরাই বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডির উইকেট যতটা গতিময় ভেবেছিলেন, ততটা নয়। এই উইকেটে তবুও গতির ঝড় তুলতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি শাহিন শাহ আফ্রিদি কিংবা নাসিম শাহর। দুজনই সহজাত গতিময় বোলার। মন্থর উইকেটেও তারা অনায়াসে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারবেন।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের উইকেট প্রথম দিন যে পেসসহায়ক ছিল না, সেটিতে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। তবুও কেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে ২৩৩ রানের বেশি যোগ করতে পারলেন না, সেটিই প্রশ্ন। দলের প্রতিনিধি হয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন বারবার পাকিস্তানি বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। আসলেই শাহিনরা দেখিয়েছেন, উইকেট থেকে সহায়তা না থাকলেও শুধু ভালো জায়গায় বোলিং করে গেলেও সাফল্য মেলে। আর পাকিস্তানের এ বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাহিন ।
২২ গজে যতই আক্রমণাত্মক হন, শাহিন মাঠের বাইরে ভীষণ লাজুক। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সারল্যও চোখে পড়ার মতো। কাল যেমন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন পশতুন ভাষায়। খাইবার পাখতুন থেকে উঠে আসা ২০ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারের মাতৃভাষা পশতুন। পিসিবির মিডিয়া কর্মকর্তার কাছে তিনি জানতে চাইলেন, উত্তরটা পশতুন ভাষায় দেবেন কিনা। হ্যাঁ–সূচক সম্মতিতে পাওয়ার পর মন খুলে দিলেন প্রশ্নকর্তার উত্তর।
কিন্তু তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের উত্তর কীভাবে দেবেন, সেটি যে খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানি গতিতারকার কাছে নিয়মিত হারই মানতে হচ্ছে তামিমদের। ওয়ানডেতে শাহিনের সেরা বোলিং বাংলাদেশের বিপক্ষে। গত বিশ্বকাপে লর্ডসে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কাল ৫৩ রানে পেলেন ৪ উইকেট।
যে দলের বিপক্ষে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন, সেটিকে তো ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ বলাই যায়! লাজুক হেসে শাহিনও তাই বলছেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে আমার সেরা পারফরম্যান্স এই দলের বিপক্ষেই। এ কারণে প্রতিপক্ষ হিসেবে দলটাকে আমরা খুব ভালো লাগে। সব দলের বিপক্ষে খেলতেই ভালো লাগে। তবে এখনো পর্যন্ত ওরাই আমার প্রিয় প্রতিপক্ষ!’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তিন পাকিস্তানি পেসারের গতি (ঘণ্টায় কিমি)
| সবচেয়ে দ্রুত | সবচেয়ে কম | গড় |
শাহিন আফ্রিদি | ১৪৪.৯ | ১২১.৫ | ১৩৭.৫ |
নাসিম শাহ | ১৪৭.৮ | ১৩৪.৮ | ১৪১.৭ |
মোহাম্মদ আব্বাস | ১৩০.৬ | ১২০.৬ | ১২৬.১ |