কোহলির পাঠ্যবইয়ে নতুন 'পাঠ'
>নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে সুপার ওভারে জিতল ভারত। এখান থেকে নতুন কিছু শিখেছেন বিরাট কোহলি
রান তাড়ায় জুড়ি নেই বিরাট কোহলি। সেটি মূল ম্যাচে—এ কথাটা লিখতে হচ্ছে কাল ওয়েলিংটনে নাটকীয় পরিস্থিতির কারণে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ভারতের হয়ে রান তাড়ায় লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে নামলেন কোহলি। সুপার ওভারে রান তাড়া তো বটেই ব্যাট করার অভিজ্ঞতাই কোহলির ক্যারিয়ারে এই প্রথম। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা রান তাড়া বলেই হয়তো ব্যর্থ হননি ভারতীয় অধিনায়ক। জয়সূচক রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই, তাও আবার বাউন্ডারি মেরে।
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দ্বিতীয়বারের মতো টাই ম্যাচ। এরপর সুপার ওভারে ১৩ রানের লক্ষ্য ১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এ সিরিজ জয় ভারত এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করলেও শিক্ষা ঠিকই নিচ্ছেন কোহলি। সুপার ওভারের মতো চাপের মুহূর্তে কীভাবে ব্যাট করতে হয়, কীভাবে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় এসব আর কী! রাহুল প্রথম দুই বলে চার-ছক্কা মেরে চ্যালেঞ্জটা সহজ করে দিয়েছিলেন কোহলির জন্য। ৩ বলে ৪ রানের দূরত্বে থাকতে স্ট্রাইক পান কোহলি। প্রথম বলে দুই রান এবং পরের বলে দর্শনীয় পুল শটে চার মেরে জয় এনে দিয়েছেন ভারতকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এ সিরিজের আগে কখনো সুপার ওভারে খেলেনি। কোহলির জন্যও অভিজ্ঞতাটা নতুন। ম্যাচ শেষে ভারতের অধিনায়ক তাই বললেন, ‘গত কয়েক ম্যাচ থেকে আমি নতুন কিছু শিখেছি; প্রতিপক্ষ ভালো খেললে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় শেষ পর্যন্ত। কী ঘটছে তা খেয়াল করে সুযোগ কাজে লাগাতে হয়। টানা দুই ম্যাচে দর্শকেরা এর চেয়ে উত্তেজনাকর কিছু আশা করতে পারত না। আমরা এর আগে সুপার ওভারে খেলিনি, এবার টানা দুই ম্যাচে (তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ) খেললাম।’
সুপার ওভারে নিজের ব্যাট করতে নামার কারণও জানিয়েছেন কোহলি, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম লোকেশ রাহুলের সঙ্গে সঞ্জু স্যামসনকে পাঠাব। কিন্তু লোকেশ বলল, অভিজ্ঞতা এবং (স্ট্রোক খেলার) সুযোগ বাড়াতে আমার নামা উচিত।’