নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন নাদালরা
>এর আগে হার্ড কোর্ট বা ঘাসের কোর্টে ক্রিকেটের মতো ইলেকট্রনিক রিভিউ পদ্ধতি চালু থাকলেও মাটির কোর্টে (ক্লে কোর্ট) ছিল না। এবার সেটাও চালু হচ্ছে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় এটিপি ৫০০ টুর্নামেন্টেই এ পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হবে
একটা দৃশ্য কল্পনা করুন।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল। কোর্টে মুখোমুখি দুই কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার। হঠাৎ আম্পায়ারের কোনো একটা সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না ফেদেরার বা নাদাল। আবেদন করলেন রিভিউ সিস্টেমের মাধ্যমে পুনরায় সে সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বিবেচনা করার।
কী? আশ্চর্য লাগছে, তাই তো? লাগাটাই স্বাভাবিক। এর আগে কখনো মাটির কোর্টে রিভিউ সিস্টেমের প্রচলন ছিল না যে! মাটির কোর্টের লাল মাটিতে বলের সঠিক অবস্থান নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছিল। সে সমস্যা সমাধানে হার্ড ও ঘাসের কোর্টের পর এবার মাটির কোর্টেও চালু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক রিভিউ সিস্টেম। আম্পায়ারের কোনো একটা সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা না বুঝতে পারলে ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচরা এখন মাটির কোর্টের টুর্নামেন্টেও রিভিউ দেখার আবেদন করতে পারবেন।
এ বছরই মাটির কোর্টের টুর্নামেন্টে এ পদ্ধতির প্রচলন করতে চায় এটিপি। ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এটিপি ৫০০ ইভেন্টের মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে মাটির কোর্টের টেনিস। ইলেকট্রনিক রিভিউ সিস্টেম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছাড়াও মন্টে কার্লো, মাদ্রিদ ও রোম মাস্টার্সেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এক বিবৃতিতে এটিপি ট্যুর বলেছে, ‘ক্লে কোর্টে এই ইলেকট্রনিক রিভিউ পদ্ধতি চালু হলে ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে আম্পায়াররা আরও নিখুঁত সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।’
২০০৬ সালে টেনিসে রিভিউ পদ্ধতির প্রচলন হলেও, এত দিন মাটির কোর্টের টুর্নামেন্টগুলো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। শুধু এটিপি ৫০০-ই নয়, এটিপি ২৫০, এটিপি মাস্টার্স ১০০০ টুর্নামেন্টেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো হবে এ বছরে।