নেইমারের ফেরা চায় না বার্সারই কিছু লোক, বললেন মেসি
লিওনেল মেসি বলেছেন, বার্সেলোনায় এমন কিছু মানুষ এবং ক্লাব সদস্য আছেন যাঁদের বিরোধিতার কারণে নেইমারের স্পেনে ফেরা কঠিন। দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে বার্সা ছেড়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। বেশ বিতর্ক তুলেই কাতালান ক্লাবটি ছেড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
সবশেষ দলবদলের মৌসুমে বার্সায় ফেরার চেষ্টা করেছিলেন নেইমার। এ নিয়ে তখন কম জল ঘোলা হয়নি। বার্সাও তাদের পক্ষ থেকে নেইমারকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল। অন্তত দলবদলের মৌসুমে ক্লাবটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরাখবর তেমন কথাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু মেসির বিশ্বাস, নেইমার যেভাবে বার্সা ছেড়েছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর এখানে ফেরার প্রক্রিয়া সহজ হবে না।
আর্জেন্টিনায় সংবাদমাধ্যম মেট্রো ৯৫.১-কে মেসি বলেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। প্রথমত, তাকে চলে যেতে দেখাটা সহজ ছিল না। দ্বিতীয়ত, সে যেভাবে বার্সা ছেড়েছে। ক্লাবের (বার্সা) সদস্য এবং আরও কিছু মানুষ আছে যারা চায় না নেইমার ফিরে আসুক। শুধু খেলার কথা ধরলে নেইমার বিশ্বের অন্যতম সেরা। কিন্তু অন্যান্য সব বিষয়গুলোও আমি বুঝি।’
>নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার বিরোধিতা করছে কাতালান ক্লাবটিরই কিছু মানুষ। দেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন কথাই জানিয়েছেন বার্সার আর্জেন্টাইন এ তারকা
কিছুদিন আগে মেসি বলেছিলেন, বার্সা ছাড়া আর কোনো ক্লাবে খেলবেন না। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার মতো তিনিও বার্সার সঙ্গে আজীবনের চুক্তি করবেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল।এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এ তারকা, ‘এর আগে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ইনিয়েস্তা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে এটা করা হয়েছে। কিন্তু আমি এমন চুক্তি চাই না যা আমাকে বেঁধে রাখবে। সামনের দিনগুলোতে কেমন লাগবে জানি না। ভালো না লাগলে এখানে (বার্সা) থাকতে চাই না। আমি পারফর্ম করতে চাই, ছুটতে চাই লক্ষ্যের পিছু, আর তাই শুধু চুক্তির জন্য থেকে যেতে চাই না। ঠিক এ কারণেই ধারণাটা (বার্সায় নিজেকে ধরে রাখা) অপছন্দ। কিন্তু এখানে সারা জীবনই থাকব।’
বার্সেলোনাতেই ক্যারিয়ার কাটছে মেসির। নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন তা বোঝাতে মেসি বলেন, ‘নেইমারের সঙ্গে প্রচুর কথা হয়। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালাই, যেখানে লুই সুয়ারেজও আছে। তার (নেইমার) ফেরাটা কঠিন।’ নেইমার বার্সায় থাকতে মেসি-সুয়ারেজকে নিয়ে ‘এমএসএন’ আক্রমণভাগ গড়েছিল বার্সা। ভক্তরা আবারও সেই আক্রমণভাগ দেখতে পাবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।