ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে কে কোথায়?

বর্ষসেরা হওয়ার মূল লড়াইটা হবে এ তিনজনের মধ্যে। ছবি : টুইটার
বর্ষসেরা হওয়ার মূল লড়াইটা হবে এ তিনজনের মধ্যে। ছবি : টুইটার
>

ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে কে কে আছেন, এ তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ফিফা। তালিকায় থাকা দশ জনের মধ্যে কার সম্ভাবনা কেমন? আসুন দেখে নেওয়া যাক

অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। এবার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে কে কে আছেন, তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। তালিকায় লিওনেল মেসি বা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো প্রত্যাশিত নাম যেমন আছে, তেমনি কিছু অপ্রত্যাশিত নামও আছে। আবার প্রত্যাশিত কিছু নামও বাদ পড়েছে। দশ জনের এ লড়াইয়ে সেরা হবেন কে? কে জিতবেন ফুটবলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অর্জনের শিরোপাটা? আসুন দেখে নেওয়া যাক, কার সম্ভাবনা কেমন:

এবারও দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। ছবি : এএফপি
এবারও দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। ছবি : এএফপি


লিওনেল মেসি
অনেকের মতেই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। তাঁর খেলা দেখে সেই দশ বছর আগের মেসির কথা মনে পড়েছে বারবার। গোটা মৌসুমে ৫১ ম্যাচ খেলে ৫০ গোল করেছেন, অনেক ম্যাচে বার্সেলোনাকে একাই বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও বগলদাবা করেছেন। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে মৌসুমটা উজ্জ্বল কাটলেও দলগত দিক দিয়ে তেমন সফলতা পাননি এ আর্জেন্টাইন তারকা। সেটি ক্লাবের ক্ষেত্রে হোক বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। মৌসুমের শুরুতে সুপার কাপ জেতা বার্সেলোনা পরে ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকলেও সন্তুষ্ট থেকেছে ‘সিঙ্গেল’ নিয়েই। মেসির অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুফল শুধু লিগেই নিতে পেরেছে বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগ আর কোপা দেল রে আর জেতা হয়নি। আর্জেন্টিনাও কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে এ বছর। জাতীয় দলের হয়ে ট্রফি খরা এবারও ঘোচাতে পারেননি মেসি। এত কিছুর পরও মেসি যদি রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বর্ষসেরা খেলোয়াড় না হতে পারেন, তাহলে সেটি হবে এ ট্রফিগুলো জিততে না পারার জন্য।

জুভেন্টাসের গিয়েও ভালো খেলছেন রোনালদো। ছবি : এএফপি
জুভেন্টাসের গিয়েও ভালো খেলছেন রোনালদো। ছবি : এএফপি


ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ট্রফির দিক দিয়ে মেসির চেয়ে ভালো মৌসুম কাটিয়েছেন রোনালদো। জুভেন্টাসের হয়ে সুপার কাপ জিতে মৌসুম শুরু করেছিলেন রোনালদোও। পরে মেসির মতো লিগ জিতেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেসিকে আবার ছাড়িয়েও গেছেন এই পর্তুগিজ তারকা। নতুন চালু হওয়া উয়েফা নেশনস লিগ জিতেছেন পর্তুগালের হয়ে। দলগত দিক দিয়ে সফল মৌসুম কাটালেও ব্যক্তিগত দিক দিয়ে কিন্তু অত দুর্দান্ত ছিলেন না রোনালদো। গোটা মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে ২৮টা গোল করেছেন রোনালদো। গত এক দশকে এই প্রথম ত্রিশের কম গোল করলেন পর্তুগিজ তারকা। গতবার বর্ষসেরার দৌড়ে দ্বিতীয় রোনালদো এ বার এ কারণেই হয়তো একটু পিছিয়ে আছেন! 

লিভারপুলের রক্ষণভাগ বদলে দিয়েছেন ফন ডাইক। ছবি : এএফপি
লিভারপুলের রক্ষণভাগ বদলে দিয়েছেন ফন ডাইক। ছবি : এএফপি


ভার্জিল ফন ডাইক
ডিফেন্ডার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ফন ডাইক। এই একটা তথ্যই যথেষ্ট প্রমাণ করার জন্য, কী অসাধারণ একটা মৌসুম কাটিয়েছেন তিনি লিভারপুলের হয়ে। দেড় বছর আগে লিভারপুলে যখন যোগ দিলেন, অল রেডদের রক্ষণভাগ নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। সে অবস্থা থেকে লিভারপুলের রক্ষণভাগ যে আজকে তর্কযোগ্যভাবে ইউরোপের সেরা, তাঁর পেছনে মূল কৃতিত্ব এই ডাচ সেন্টারব্যাকের। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে গত ৬৪ ম্যাচে ফন ডাইককে ড্রিবলে পরাস্ত করে কেউ গোল করতে পারেননি, ভাবা যায়! লিভারপুলকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটুর জন্য লিগ জেতা হয়নি। ওদিকে বিশ্বকাপ না খেলতে পারা নেদারল্যান্ডসকে নেশনস লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনে অধিনায়ক ফন ডাইকের ভূমিকা ছিল অনেক। বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে মেসি-রোনালদোকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জানাবেন এই ফন ডাইকই। আর সে চ্যালেঞ্জে যদি জিততে পারেন, তাহলে ১৩ বছর পর একজন ডিফেন্ডারের হাতে বর্ষসেরার পুরস্কার দেখবে বিশ্ব। 

প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলদাতা হয়েছেন সালাহ। ছবি : এএফপি
প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলদাতা হয়েছেন সালাহ। ছবি : এএফপি


মোহাম্মদ সালাহ
গত মৌসুমে বর্ষসেরার দৌড়ে তৃতীয় হওয়া মিসরীয় এই উইঙ্গার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে আছেন এবারও। লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ২২ গোল। আর গোলগুলো করার পথে লিভারপুলের ইতিহাসে দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে গোলের ফিফটিও করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে সেরা গোলদাতার পুরস্কারও পেয়েছেন যৌথভাবে। 

প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তো বটেই, জাতীয় দলের হয়েও উজ্জ্বল ছিলেন মানে। ছবি : এএফপি
প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তো বটেই, জাতীয় দলের হয়েও উজ্জ্বল ছিলেন মানে। ছবি : এএফপি


সাদিও মানে
একটুর জন্য আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেনেগালের এ তারকার। তা না হলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পাশাপাশি দেশের হয়ে একটা শিরোপা জেতার আনন্দ করতে পারতেন বিদ্যুৎগতির এই উইঙ্গার। লিগে ২২ গোল নিয়ে ক্লাব-সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহ ও আর্সেনাল স্ট্রাইকার পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন সাদিও মানে। ক্যারিয়ারের আর অন্য কোনো মৌসুমে এত বেশি গোল দেননি মানে। 

এর মধ্যেই বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ডি ইয়ং। ছবি : এএফপি
এর মধ্যেই বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ডি ইয়ং। ছবি : এএফপি


ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং
বয়স মাত্র একুশ। এর মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন নেদারল্যান্ডসের ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। শুধুই কি মিডফিল্ড? ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং খেলতে পারেন রক্ষণভাগেও। আয়াক্সকে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তোলার পেছনে তাঁর ভূমিকা অনেক বেশি। জিতেছেন লিগ ও কাপের অনন্য ‘ডাবল’ও। এতটাই ভালো খেলেছেন, যে নিজেদের মিডফিল্ডের অন্যতম সেরা সেনানী সার্জিও বুসকেটসের উত্তরসূরি হিসেবে ডি ইয়ংকে দলে নিয়ে এসেছে বার্সেলোনা। ও হ্যাঁ, বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার আগে ডাচ লিগের সেরা খেলোয়াড়ও হয়ে এসেছেন ডি ইয়ং। 

আয়াক্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন ডি লিটও। ছবি : এএফপি
আয়াক্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন ডি লিটও। ছবি : এএফপি


ম্যাথিস ডি লিট
ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের সঙ্গে বহু দিক দিয়েই মিল আছে ম্যাথিস ডি লিটের। দুজনই ডাচ। আয়াক্সকে অবিস্মরণীয় মৌসুম উপহার দেওয়ার পেছনে ডি ইয়ংয়ের মতো ভূমিকা রেখেছিলেন ডি লিটও। যেখানে ডি ইয়ং হয়েছেন ডাচ লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়, ডি লিট হয়েছেন লিগের বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আয়াক্সের মতো একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সেমিতে তোলাটা চাট্টিখানি কথা নয়। ডি লিট ঠিক সে কাজটাই করেছেন। ওদিকে ফন ডাইকের সঙ্গে নেদারল্যান্ডকে নেশনস লিগের ফাইনালেও তুলেছেন এ তারকা। জর্জো কিয়েলিনি, আন্দ্রেয়া বারজাগলি আর লিওনার্দো বোনুচ্চিদের যুগ শেষে দলের রক্ষণভাগ সামলাতে এ ডি লিটকেই বেছে নিয়েছে জুভেন্টাস। উনিশ বছর বয়সেই যে খেলোয়াড়ের সাফল্য এত বাকি ক্যারিয়ারে আর কী কী করবেন, সে কথা ভাবতে গেলেও চোখ কপালে উঠে যায়!

নেইমারের ছায়া থেকে অবশেষে বের হতে পেরেছেন এমবাপ্পে। ছবি : এএফপি
নেইমারের ছায়া থেকে অবশেষে বের হতে পেরেছেন এমবাপ্পে। ছবি : এএফপি


কিলিয়ান এমবাপ্পে
নেইমারের ছায়ায় আড়াল হয়ে থাকার জন্য নয়, তিনি এসেছেন পিএসজির মূল কান্ডারি হতে—এ কথাটা এবার বেশ ভালোভাবে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। গতবার চতুর্থ হওয়া এ তারকা এবার ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই মৌসুমে ফরাসি লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। লিগে ২৯ ম্যাচ খেলে ৩৩ গোল আর ৭ বার গোলে সহায়তা করা এ তারকা দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারেননি। যে কারণে হয়তো এবারও বর্ষসেরা হওয়া হচ্ছে না তাঁর। তাও, মাত্র বিশ বছরে এত কিছু করে ফেলা এমবাপ্পের সামনে যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, সেটা না বলে দিলেও চলছে!

চেলসিকে ইউরোপা জিতিয়ে হ্যাজার্ড গিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ছবি : এএফপি
চেলসিকে ইউরোপা জিতিয়ে হ্যাজার্ড গিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ছবি : এএফপি


এডেন হ্যাজার্ড
ব্যক্তিগত হিসেবে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন বেলজিয়ান উইঙ্গার এডেন হ্যাজার্ড। লিগ না জিততে পারলেও চেলসিকে ইউরোপা জেতানোর পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। গোটা মৌসুমে মোট ১৪ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি, হ্যাজার্ডের কোনো সতীর্থ ধারেকাছেও নেই! হ্যাজার্ডের এই আগুনে ফর্ম নজর এড়ায়নি রিয়াল মাদ্রিদের। প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে হ্যাজার্ডকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। 

তালিকায় হ্যারি কেনই সবচেয়ে বড় চমক। ছবি : এএফপি
তালিকায় হ্যারি কেনই সবচেয়ে বড় চমক। ছবি : এএফপি


হ্যারি কেন
গত মৌসুমে ৪০ ম্যাচ খেলে ২৪ গোল করেছেন টটেনহামের ইংলিশ স্ট্রাইকার। মৌসুমের শুরু ও শেষ দিকে বেরসিকের মতো হাঁটুর দুটি চোট বাধা না দিলে গোলের পরিসংখ্যানটা হয়তো আরেকটু উজ্জ্বল হতো। আর তাতে হয়তো চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপ নয়, চ্যাম্পিয়নই হতো টটেনহাম। তবে সব মিলিয়ে বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে হ্যারি কেনের থাকাটা একটু চমকপ্রদই বলা চলে। 

মনোনয়ন পেলেন না যারা
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ পুরস্কার কোপা আমেরিকা জয়ী ব্রাজিল দলের কেউ এবার মনোনয়ন পাননি। খবরটা চমক হয়ে এসেছে অনেকের কাছেই। বিশেষ করে ব্রাজিল ও লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা এই গোলরক্ষক ব্রাজিলকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা। এই দুই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ইংলিশ লিগের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারটাও পেয়েছেন তিনি। অনেকেই ভাবছিলেন, ১৯৬৩ সালে বর্ষসেরার পুরস্কার পাওয়া লেভ ইয়াশিনের পর এবার অ্যালিসনই হবেন ফিফা বর্ষসেরা হওয়া প্রথম গোলরক্ষক। কিন্তু না, সে আশার গুঁড়েবালি ঢেলে দিয়েছে খোদ ফিফা। ওদিকে ম্যানচেস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লিগ কাপ ও পর্তুগালকে নেশনস লিগ জেতানো বের্নার্দো সিলভা কী করে এ তালিকায় নেই, তা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রাখা হয়নি ইংলিশ উইঙ্গার রহিম স্টার্লিংকেও। ওদিকে গত বারের বর্ষসেরা রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদরিচ জঘন্য মৌসুম কাটানোর মাশুল দিয়েছেন। এবার সেরা দশে নেই তিনি। সর্বশেষ এমন হয়েছিল সেই ২০০২ সালে। ২০০১ সালের বর্ষসেরা তারকা লুই ফিগো ২০০২ সালে সেরা দশেও ছিলেন না।

মেসি কি রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বসেরা হবেন? নাকি মেসিকে টপকে যাবেন রোনালদো? নাকি টানা দুই বছর এ দুজনের বাইরে অন্য কারও হাতে উঠবে বর্ষসেরার ট্রফি? ফাবিও ক্যানাভারোর পর প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে কি ফন ডাইক বর্ষসেরা খেলোয়াড় হবেন?

সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।