খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে
একটা টাইম মেশিন থাকলে ভালো হতো। আমি যখন এ লেখাটা লিখছি, তখন ভারত-বাংলাদেশ খেলায় কেবল টস হয়েছে, ভারত টসে জিতেছে। আর আপনারা যখন এ লেখা পড়ছেন, তখন আপনারা খেলার ফল ভালো করেই জানেন। ‘ক্রিকেট নিষ্ঠুর, কিন্তু খোদা নিষ্ঠুর নন।’
ক্রিকেটে টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের ভাগ্য এ রকম, বৃষ্টি হলো শ্রীলঙ্কার দিনে, বৃষ্টি তো ইংল্যান্ডের দিনও হতে পারত! খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে। যাক ফরচুন ফেভারস দ্য ব্রেভ।
একটা টাইম মেশিন থাকলে অবশ্য ভালো হতো। ভবিষ্যতে গিয়ে আমি বলে দিতে পারতাম খেলার ফল কী হয়েছে। সপ্তাহ দুই সামনে গিয়ে বলা যেত, এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন কে হয়েছে।
ক্রিকেট সম্পর্কে একটা প্রবাদ বলি। ‘ক্রিকেট হলো সেই খেলা যেখানে ২২ জন খেলে, আর খেলা শেষে জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া।’ তবে আমাদের বন্ধু সাংবাদিক পিনাকি রায় একটা নতুন কথা বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে যেতে পারে, নিউজিল্যান্ড যেতে পারে, পাকিস্তান যেতে পারে, শ্রীলঙ্কা যেতে পারে, বাংলাদেশ যেতে পারে। কিন্তু আর্জেন্টিনা কিছুতেই চ্যাম্পিয়ন হবে না।’ কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলায় কী হলো, তা–ও আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন।
তাহলে আমরা কথা বলব কী নিয়ে।
ক্রিকেটে যে আমরা সবাই মিলে অংশ নিই, প্রার্থনা করি, দোয়া–দরুদ পড়ি, আগের ম্যাচে যে কাপড় পরে জিতেছিলাম সেই কাপড় পরে থাকি, গ্যালারিতে থাকলে চিৎকার করি, মনে হয় সেই কারণেই টিম জিতেছে। তবে একটা সুবিধাও আছে। দল জিতলে গৌরব আমার, দল হারলে দোষ কোনো একজন খেলোয়াড়ের। কিংবা ক্যাপ্টেনের, তিনি কেন টসে জিতে অমুক করলেন না। কালকের খেলায় অবশ্য মাশরাফি বলতে পারবেন, আমি তো আর টসে জিতি নাই। হায়, বাংলাদেশ কেন টস জেতে না?
খেলার ফল কী হয়েছে, আমি জানি না। আমি শুধু জানি, হারি–জিতি বাংলাদেশ। লড়ো বাংলাদেশ, লড়ে যাও। এগিয়ে যাও। আমাদের হারানোর কিছু নেই। জয় করার জন্য আছে সমস্ত পৃথিবী। এবং রয়েছে বিশ্বকাপ। কবে তা জানার জন্য টাইম মেশিন দরকার। আর তা জানেন ক্রিকেটের ভাগ্যবিধাতা, যিনি খেলছেন এ বিশ্ব লয়ে।