যে ম্যাচ জিতে 'দুঃখিত' গার্দিওলা!
>প্রথমে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ ২০ মিনিটে তিন গোল দিয়ে সোয়ানসি সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপের সেমিতে উঠল ম্যানচেস্টার সিটি। সিটির হয়ে গোল করেছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার বার্নার্ডো সিলভা ও আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। বাকি গোলটা আত্মঘাতী। তবে এই ম্যাচে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি বা ভার না থাকায় সিটি কিছুটা সুবিধা পেয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। ম্যাচের পর সিটি কোচ গার্দিওলা নিজেও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন।
মৌসুম শেষ হতে বেশি বাকি নেই। এ মুহূর্তে পা হড়কানো মানে হাত থেকে শিরোপা ফসকে যাওয়া। কাল আরেকটু হলে এমন একটা শিরোপা ফসকে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটির হাত থেকে। এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। মূলত শেষে বিশ মিনিটের এক ঝড়ে তিন গোল দিয়ে জয়টা নিশ্চিত করেছে পেপ গার্দিওলার দল। তবে সিরিটরে এই জয়ে ‘সাহায্য’ করেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ‘ভার’ এর অনুপস্থিতি।
ইংলিশ মিডফিল্ডার ম্যাট গ্রিমসের পেনাল্টি গোলে ২০ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় সোয়ানসি। এর ঠিক নয় মিনিট পরে কসোভোর মিডফিল্ডার বার্সান্ট সেলিনার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারা। এই সেলিনা এককালে ম্যানচেস্টার সিটিতেই খেলতেন। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্যাকফুটে চলে যায় গার্দিওলার দল। শক্তিশালী দল নিয়েও অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না সিটি, এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে পর্তুগিজ উইঙ্গার বার্নার্ডো সিলভার গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এর কিছুক্ষণ পর সোয়ানসি ডিফেন্ডার ক্যামরন কার্টার-ভিকার্স পেনাল্টি উপহার দেন সিটিকে। যদিও রহিম স্টার্লিংয়ের ওপর কার্টার-ভিকার্সের চ্যালেঞ্জ অতটা গুরুতর বলে মনে হয়নি। সে পেনাল্টি পেয়ে বল পোস্টে মারেন আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরো, সেই বল আবার সোয়ানসির সুইডিশ গোলরক্ষক ক্রিস্টোফার নর্ডফেল্টের পায়ে লেগে গোল হয়ে যায়। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে আগুয়েরোর গোলে ম্যাচ জিতে যায় সিটি। যদিও অফসাইডে থেকে আগুয়েরো শেষ গোলটা করেছেন বলে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলিতে।
ইংল্যান্ড এফএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এফএ কাপের কিছু ম্যাচে তারা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নেবে, সব ম্যাচে নয়। কালকের কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচের আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ‘ভার’ ব্যবহার করা হবে না। যে কারণে আগুয়েরো ‘অফসাইড’ এ দাঁড়িয়ে থেকে গোল করলেও আসলেই কি অফসাইড ছিলেন কি না, সেটা যাচাই করার জন্য ‘ভার’ ছিল না। ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলাও এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছেন, ‘বিশ্বের সব প্রান্তে “ভার” ব্যবহার করা হলেও এখানে কিছু ম্যাচের জন্য হচ্ছে না। আমি এভাবে জিততে পছন্দ করি না। আমি দুঃখিত।’
তাহলে আকারে-ইঙ্গিতে গার্দিওলা তো এটাই প্রমাণ করলেন, যে সিটি অনৈতিক সুবিধা পেয়েছে!