কোথায় হারিয়েছিলেন, বললেন জিয়া
>একটা সময় জিয়ার নামের পাশে বসেছিল ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ তকমা। অথচ ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এক প্রকার হারিয়েই গেলেন। আজ ওয়ালটন ডিপিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম সেমিফাইনালে ঝড় তোলা জিয়ার কাছে তাই জানতে চাওয়া হলো, কোথায় হারিয়েছিলেন
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে তাঁকে রাখেননি নির্বাচকেরা। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনায় পড়লেন নির্বাচকেরা। এক প্রকার জনতার দাবি আর সংবাদমাধ্যমের লেখালেখিতে জিয়াউর রহমান আকস্মিকভাবে ফিরলেন ঘরের মাঠে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
পেস বোলিংয়ের সঙ্গে লোয়ার মিড অর্ডারে ঝড় তুলতে পারেন, জিয়ার নামের পাশে ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ তকমাও জুড়ে দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারেননি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে আছে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। একই বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলার পর জিয়ার সামনে জাতীয় দলের দরজাটাও বন্ধ হয়ে আছে অনেক দিন হলো।
আজ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টির প্রথম সেমিফাইনালে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ২৯ বলে ৭২ রানের যে ঝড়টা তুলে জিয়া যেন আফসোসই জাগালেন, এই ইনিংস কেন ধারাবাহিকভাবে তাঁর কাছ থেকে দেখা যায় না! ৮৬ টি-টোয়েন্টিতে কেন মাত্র তাঁর দুটি ফিফটি? টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের নভেম্বরে। মাঝে আর কোনো লম্বা ইনিংস নেই। কেন এই বিরতি, কোথায় হারিয়েছিলেন তিনি?
আজ ম্যাচ শেষে জিয়া অবশ্য বললেন, জাতীয় লিগ, বিসিএলের মতো বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে তিনি ধারাবাহিক রান করেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সেটি নিয়মিত না দেখতে পাওয়ার মূল কারণ, ধারাবাহিক সুযোগ পান না, ‘আমি কিন্তু এনসিএল, বিসিএলে রান করেছি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এবারের বিপিএলেও সুযোগ পাইনি। সুযোগ পাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার ওপর সতীর্থ-কোচ সবার আস্থা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে (শেখ জামাল ধানমন্ডি) আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট-সতীর্থ সবাই বিশ্বাস করেছে। তারা বলেছে, আমি পারব, আমরা জিতব এই ম্যাচ! এই যে একটা আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাস, এতেই কিন্তু খেলা বদলে যায়।’
জিয়া বলতে চাইছেন, আজ যে ঝড়টা মিরপুরে তুলেছেন, এটির ধারাবাহিক থাকবে যদি তাঁকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়, ‘আমি সুযোগ কম পাই। সবাই মনে করে শেষ দুই-তিন ওভারে গিয়ে জিয়া অনেক কিছু করে ফেলবে। ওখানে গিয়ে হয়তো একদিন সফল হই কিন্তু দুই দিন হই না। যদি আরও ওপরে ব্যাটিং করার সুযোগ পাই, ধারাবাহিক ভালো করার চেষ্টা করব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে একটা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেই জাতীয় দলে ফেরার অলীক স্বপ্ন দেখেন না জিয়া। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, যদি ধারাবাহিক ভালো খেলেন বাংলাদেশ দলে আবারও ফিরতে পারবেন। এটাও উপলব্ধি করেন, তাঁর মতো মারকুটে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশ ভালোই অনুভব করে।