রেকর্ড পরিসংখ্যানে মেসির ৫০ হ্যাটট্রিক
গতকাল লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৫০তম হ্যাটট্রিক।
লিওনেল মেসি প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০০৭ সালে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। এক যুগ পেরিয়ে এসে করলেন ক্যারিয়ারের ৫০তম হ্যাটট্রিক, সেভিয়ার বিপক্ষে। হ্যাটট্রিকের হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেল। এই ৫০টি হ্যাটট্রিকের ৮টি মেসি করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে। ৩২টি স্প্যানিশ লা লিগায়, তিনটি কোপা ডেল রেতে, একটি সুপার কাপে। বাকি ছয়টি হ্যাটট্রিক জাতীয় দলের জার্সি গায়ে।
মেসির আটটি চ্যাম্পিয়নস লিগ হ্যাটট্রিকের দুটি নকআউট পর্বে। এই দুই হ্যাটট্রিকই আবার বিশাল! ২০১২ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে করেছিলেন ৫ গোল। ২০১০ সালের এপ্রিলের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে করেছিলেন ৪ গোল।
২০১৬-১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন। সেল্টিক ও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।
হ্যাটট্রিক করার ক্ষেত্রে মেসির প্রিয় প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া, ওসাসুনা, এসপানিয়ল ও দেপোর্তিভো। এই চার দলের বিপক্ষেই লা লিগায় মেসির তিনটি করে হ্যাটট্রিক আছে। হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক! ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মেসির কোপা ডেল রেতেও হ্যাটট্রিক আছে। কাপের হ্যাটট্রিকসহ মোট চারটি এই এক দলের বিপক্ষেই করেছেন। সেভিয়ার বিপক্ষেও মেসির তিনটি হ্যাটট্রিক আছে। দুটি লা লিগায়, একটি সুপার কাপে। তিনটি হ্যাটট্রিক আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও, দুটি লা লিগায়, একটি কোপা ডেল রেতে।
জাতীয় দলের হয়ে মেসির ৬ হ্যাটট্রিক সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, গুয়াতেমালা, পানামা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে (২টি)। এর মধ্যে চারটি হ্যাটট্রিক প্রীতি ম্যাচে, একটি কোপা আমেরিকায়, অন্যটি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাছাই পর্বে মেসির হ্যাটট্রিক তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। সেদিন মেসির একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনা ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিল।
জাতীয় দলের হয়ে মেসির সর্বশেষ দুটি হ্যাটট্রিকই ইকুয়েডরের বিপক্ষে। বাছাই পর্বের পর বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচে আবারও হ্যাটট্রিক করেন।
ছয়টি ম্যাচে মেসি চারটি করে গোল করেছেন। এক ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। ২০১০ ও ২০১১ সালে মেসি ছয়টি করে হ্যাটট্রিক করে। ২০১২ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৯টি।