দুর্দান্ত ভারতের সামনে অসহায় নিউজিল্যান্ড
শেষ ওয়ানডে ভারতকে কে জেতালেন? সাদা চোখে খেলা কিংবা স্কোরকার্ড দেখলেই উত্তরটা মিলে যায়, আম্বাতি রাইডু ও হার্দিক পান্ডিয়া। পার্শ্ব নায়ক হিসেবে কেদার যাদব ও বিজয় শংকরের নামও বলা যাবে। কিন্তু ম্যাচটা ভারতের পকেটে পুরে দেওয়ার কৃতিত্বটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি নামের, মহেন্দ্র সিং ধোনির। আবারও ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আর উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন কেন মাঝে অতটা বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্বকাপ দলে বিরাট কোহলির পরই তাঁর নামটা লিখে রেখেছেন নির্বাচকেরা।
সিরিজ ভারত জিতে গেছে তৃতীয় ম্যাচ শেষে। ৩৫ রানে পঞ্চম ওয়ানডেটা জিতে ওয়ানডে সিরিজের ব্যবধান ৪-১ করে নিয়েছে সফরকারীরা। যা আজ দিনের প্রথম আধা ঘণ্টায় কল্পনাও করা যায়নি। ভয়াবহ এক ব্যাটিং বিপর্যয় শুরুতে বলা নামগুলো কাটিয়ে না উঠলে আজও এক শর নিচে গুটিয়ে যেতে পারত ভারত। সেটা শেষ পর্যন্ত ২৫২তে থেমেছে ভারত। জয়ের জন্য নিজেদের মাঠেই যে স্কোরটা অনেক বেশি মনে হলো নিউজিল্যান্ডের।।
তাড়া করতে নেমে শুরুতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সে ধাক্কা সামলাতে কেন উইলিয়ামসন রীতিমতো টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু কেদার যাদবের ‘না স্পিন, না স্লোয়ার’ বোলিংয়ের কাছে হার মেনেছেন ৭৩ বলে ৩৯ করা উইলিয়ামসন। ৩১ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরো নিউজিল্যান্ড জয়ের আশা দেখছিল। কারণ উইকেটে জিমি নিশাম ছিলেন। মাত্র ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু ৮২ বলে ৭৭ রান করতে হবে এমন অবস্থাতে বিদায় নিলেন নিশাম। যাদবের বলে বল প্যাডে লেগেছিল নিশামের। এলবিডব্লুর আবেদন হচ্ছে দেখে রান নেবেন কি, নেবেন না এমন দোনোমনা করছিলেন নিশাম। কিন্তু পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা ধোনি ঠিকই পেছনে ছুটে গেলেন এবং সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দিলেন স্টাম্প।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস আরও ৮ ওভার লম্বা হয়েছে। কিন্তু ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে ধোনির থ্রোতেই। মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরিরা শুধু ব্যবধান কমাতেই পেরেছেন, নিজেদের মাটিতে ভারতের কাছে ভরাডুবি এড়াতে পারেননি।