দাঁড়াতেই পারল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

>
রংপুরের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারল না কুমিল্লা। ছবি: শামসুল হক
রংপুরের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারল না কুমিল্লা। ছবি: শামসুল হক

শীর্ষে থেকে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেই বিপর্যয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের দল গুটিয়ে গেছে ৭২ রানেই

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বড় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় বিপদেই পড়েছে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। নাহিদুল ইসলাম, মাশরাফি মুর্তজা আর রবি বোপারাদের বোলিংয়ে ১৬.৩ ওভারে ৭২ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
নাহিদুলের অফ স্পিন দিয়ে শুরু করেছিল রংপুর। কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই। তবে সেই নাহিদুলই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তামিম ইকবালকে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ বানিয়ে কুমিল্লার বিপর্যয়ের শুরুটা করেন। তামিম ডাউন দ্য উইকেটে এসে নাহিদুলকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লং অনে। এরপর থেকে কুমিল্লা উইকেট হারিয়েছে নামতা পড়ার মতো করেই।
এরপর এনামুল হক ফেরেন ৫ রানে। নাহিদুলেরই অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস কিংবা শামসুর রহমানরাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইমরুলকে ফেরান মাশরাফি, শামসুকে শহীদুল ইসলাম। থিসারা পেরেরা, আবু হায়দার, ওয়াহাব রিয়াজরা বিন্দুমাত্র প্রতিরোধও গড়তে পারেননি। আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। এদের মধ্য কিছুটা লড়েছেন লিয়ান ডসন আর জিয়াউর রহমান। ডসন ১৮ আর জিয়া করেন ২১। এই দুজনের সংগ্রহ না থাকলে কুমিল্লার অবস্থা কী দাঁড়াত, সেটি বলাই বাহুল্য। জিয়া, ডসন, দুজনকেই ফিরিয়েছেন বোপারা। বিপিএলে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে খেলতে নেমে বল হাতে দুর্দান্তই করেছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার।
রংপুরের নাহিদুল ২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। মাশরাফিও ২ উইকেট নিয়েছেন, ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে। রবি বোপারা আরও দুর্দান্ত ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট! এ ছাড়া শহীদুল ইসলাম আর নবাগত লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।