জেমি ডে কি দেখেছেন মতিনের ঝলক?
>স্বাধীনতা কাপে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন মতিন মিয়া। কিন্তু তাঁর মনে সংশয়, জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে তাঁর খেলা দেখেছেন তো!
বসুন্ধরা কিংসে তারকা ফুটবলারের হাঁট। ফরোয়ার্ড লাইনেই আছেন কোস্টারিকার জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা ডেনিয়েল কলিন্দ্রেস, ব্রাজিলিয়ান মার্কাস ভিনিসিয়ুস ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের মাহবুবুর রহমান সুফিল। সদ্য সমাপ্ত স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে এরা সবাই কম বেশি ভালো খেলেছেন। কিন্তু মতিন মিয়ার আড়ালে পড়ে গিয়েছেন সবাই।
ফাইনালে বদলি নেমে গোল করে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন মতিন। সেমিফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়ের আগে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের গোলটিও এসেছিল মতিনের পা থেকে। গোল ছাড়াও পুরো টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরমেন্স ছিল নজরকাড়া। কিন্তু উদীয়মান এই ফরোয়ার্ডের শঙ্কা লন্ডনে বসে জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে দেখেছেন তো তাঁর ঝলকানি?
সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে প্রস্ফুটিত হওয়া মতিন চলতি মৌসুমেই নাম লিখিয়েছেন বসুন্ধরায়। মৌসুমের প্রথম দুইটি টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ খেলেছেন ১১ টি। এর মধ্যে সাত ম্যাচেই বদলি। দুইটি টুর্নামেন্টে দুইটি করে করেছেন চারটি গোল। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন সাধারণত বদলি হিসেবে মতিনকে মাঠে পাঠান। আর তাঁর মাঠে নামা মানেই দর্শকদের নড়ে চড়ে বসা। দুর্দান্ত সব গোল করতে জুড়ি নেই। তাই বদলি হিসেবে মাঠে নামতেও মতিনের নেই কোনো আপত্তি, ‘কোচ আমাকে যে ম্যাচে যখন যেভাবে চান, আমি প্রস্তুত আছি। ফাইনালে নামার সময় কোচ আমাকে বলেছিলেন মতিন গোল করতে হবে, তোমার সেই যোগ্যতা আছে। তুমি করে দেখাও। শেষ পর্যন্ত আমার গোলেই দল চ্যাম্পিয়ন।’
মতিনের মনে তবু সংশয়। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করার পরও না জানি জাতীয় দলে উপেক্ষিত থাকতে হয় তাঁকে। কারণ চলতি বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলের চূড়ান্ত দলে থাকা হয়নি তাঁর। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দরে থাকলেও মাঠে এক ম্যাচে ক্ষণিকের জন্য সুযোগ হয়েছিল মাঠে নামার। তাই প্রতিবেদককে তাঁর প্রশ্ন, ‘কোচ জেমি ডে আমার খেলা দেখেছে তো?’ ফেডারেশন কাপের পরেই ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ডে গিয়েছেন জেমি। স্বাধীনতা কাপের একটি ম্যাচও মাঠে বসে দেখা হয়নি তাঁর। ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা ইংলিশ এই কোচের।
স্বাধীনতা কাপে মতিনের খেলা দেখেছেন কিনা জাতীয় দলের কোচ বা দেখে থাকলে তাঁর প্রতিক্রিয়া কি? এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা গেল না। তবে ক্লাবের কোচ অস্কারের মুখে মতিনের প্রশংসার ফুলঝুড়ি, ‘মতিন খুব গতি সম্পন্ন ফুটবলার। সে যখন-তখন খেলার চেহারা বদলে দিতে পারে।’