বিশ্বসেরা চারে বাংলাদেশের দুই
>বিশ্বের সেরা চার অলরাউন্ডারের দুজনই এখন বাংলাদেশি: সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে কাল। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টির শেষটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। ৫০ রানে হেরে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে ২০১৮ সালটা শেষ হলো হার দিয়ে। এমন অবস্থায় অন্য কোনো খবরই ঠিক সুখবর বলে ঠেকে না। কিন্তু আইসিসির খেলোয়াড় র্যাঙ্কিং একটা সুখবর দিচ্ছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বেশ উচ্চ লাফ দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বের সেরা চার অলরাউন্ডারের দুজনই এখন বাংলাদেশি।
আইপিএলের শেষ নিলামটা হয়ে গেছে কদিন আগেই, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের মাঝপথেই। আইপিএলের নিলামে বেশ ভালো দামে বিকিয়েছেন উইন্ডিজের বিভিন্ন খেলোয়াড়। বাংলাদেশের অবস্থা পুরো উল্টো। সাকিব আল হাসানকে তাঁর দল ধরে রাখায় নিলামে উঠতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু শেষ পর্যায়ের এ নিলামে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর নাম ছিল। কেউ তাঁদের দলে না নিলেও মুশফিককে তবু নিলামে ডাকা হয়েছিল কিন্তু অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে থাকা মাহমুদউল্লাহকে নিলামের মঞ্চেই তোলা হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাই ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠে এর জবাব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে ৬৬ রানের সঙ্গে ৫ উইকেট পেয়েছেন। ফলে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৩১ নম্বরে উঠে এসেছেন আর বোলার হিসেবে ১৭ ধাপ এগিয়ে চলে এসেছেন ৫১-তে। আর দুই দিকেই এগিয়ে যাওয়ায় অলরাউন্ডারদের মধ্যে চারে উঠে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। পাঁচে থাকা ডুমিনির চেয়ে ২৪ রেটিং পয়েন্ট এগিয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ (২৪০)।
সাকিবও অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন দুইয়ে। টেস্টের শীর্ষ অলরাউন্ডার ওয়ানডেতেও আছেন ২ নম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ১০৩ রান করা সাকিব বল হাতে তিন ম্যাচে পেয়েছেন ৮ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৩৭তম সাকিব এখন বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আছেন সাতে। ফলে ৩৩৮ রেটিং নিয়ে সাকিব টপকে গেছেন মোহাম্মদ নবীকে (৩১৩)। সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সাকিবের চেয়ে ২৪ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের মধ্যে অবশ্য সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন লিটন দাস। সিরিজে ১০৯ রান করে ২৬ ধাপ এগিয়ে ৪৭ তম অবস্থানে এসেছেন এই ওপেনার।