সাকিবের সামনে দাঁড়াতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ব্যাট হাতে ঝোড়ো ৪২* রান করার পরই দায়িত্ব শেষ মনে হতে পারত সাকিব আল হাসানের। নিজেদের মাঠে ২১১ রান তোলার পর বোলারদের জন্য কাজটা তো সহজই। কিন্তু বাংলাদেশের ঝড়ের জবাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ টর্নেডো দিয়ে দেওয়া শুরু করেছিল। সাকিব তাই বল হাতে নিলেন, প্রথমেই ফেরালেন ঝড়ের ইঙ্গিত দেওয়া নিকোলাস পুরানকে। উইন্ডিজ ঝড় থামল, কিন্তু সাকিব ঝড় থামল না। স্পিনের ঘূর্ণিপাকে উইন্ডিজকে শেষ করে দিলেন অধিনায়ক। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারাল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের মীমাংসা এখন হবে শনিবারের ম্যাচে।
লিটন, সৌম্য, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর সুবাদে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো দুই শ ছাড়ান স্কোর পেল বাংলাদেশ। সে রান তাড়া করতে নেমে উইন্ডিজ এমনই শুরু করল যে ২১২ রানের লক্ষ্যকেও ছোট মনে হচ্ছিল। এভিন লুইসকে তৃতীয় ওভারে আবু হায়দার ফেরানোর পরও চতুর্থ ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ! পঞ্চম ওভারে পুরানকে ফেরালেন সাকিব। পরের ওভারে শাই হোপও ক্যাচ দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। হঠাৎ করেই বিপাকে পড়ল উইন্ডিজ।
সে বিপদ আর কাটানো হয়নি উইন্ডিজের। ওয়ানডে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো, কার্লোস ব্রাফেট আর ফ্যাবিয়ান অ্যালেনরা তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না কই! আরও ভালোভাবে বলতে চাইলে, সাকিব সে সুযোগ দিলেন কই। উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা যখনই জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন, সাকিব বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টানা চারটি উইকেট নিয়ে নিলেন অধিনায়ক। আর তাতেই মাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টি পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেলেন সাকিব, ৩৮৬ রান ওঠা এক ম্যাচে!
১৩৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ক্ষণ গুনতে শুরু করল উইন্ডিজ। একমাত্র পাওয়েল আর নয়ে নামা কিমো পলই একটু চেষ্টা করছিলেন। দুজনই ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। ৩৩ বলে ফিফটি করা পাওয়েল আউট হয়েছেন পরের বলেই। প্রথম দুই ওভারে ৪০ রান দেওয়া মোস্তাফিজের তৃতীয় স্পেলের শুরুটা আলোকিত হয়েছে পাওয়েলের বিদায়ে। ৪ ওভারে ৫০ রান দেওয়া স্পেলের শেষটা মোস্তাফিজ করেছেন ১৬ বলে ২৯ তোলা পলকে তুলে নিয়ে। ১৮তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন পল।
শেষ দুই ওভারে ৩৯ রান তোলার লক্ষ্যটা উইন্ডিজ তাই আর ছুঁতে পারেনি।