বিচার চেয়ে উল্টো ভারতকে জরিমানা দিচ্ছে পাকিস্তান

আইসিসির কাছে আপিল করায় এখন ভারতের খরচও দিতে হবে পাকিস্তানকে। ফাইল ছবি
আইসিসির কাছে আপিল করায় এখন ভারতের খরচও দিতে হবে পাকিস্তানকে। ফাইল ছবি
>ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু আইসিসি পাকিস্তানের সে দাবি কেবল উড়িয়েই দেয়নি ভারতীয় বোর্ডকে উল্টো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তারা

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। বারবার আশা দেখিয়েও সিরিজ আয়োজন করেনি। পাকিস্তানে তো আসেইনি আবার নিজেদের দেশেও ডেকে পাঠায়নি। অন্তত ছয়টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে না পারায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্ভাব্য আয়ের অঙ্কটা কমে গেছে বহুগুণ। এমন দাবি নিয়েই বিসিসিআইর বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে গিয়েছিল পিসিবি। কিন্তু সে দাবি শুধু উড়িয়েই দেয়নি আইসিসি, ভারতীয় বোর্ডকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা!

কূটনৈতিক কারণে ভারত বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ খেলছে না। অথচ ‘তিন মোড়ল’ নীতিতে পাকিস্তানকে রাজি করার সময় দ্বিপাক্ষিক সিরিজের লোভ দেখিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু এক একটি সিরিজের সময় আসে আর ভারতীয় বোর্ড নানা অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো বাতিল করে দেয়। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজনের কথা বলা হয়। কিন্তু সেগুলো আর বাস্তবে রূপ পায় না। এ দুঃখ থেকেই পিসিবি আইসিসির কাছে আপিল করেছিল, বিসিসিআই সমঝোতা স্মারকের কথার বরখেলাপ করেছে। কিন্তু গত অক্টোবরে আইসিসি সে আপিল খারিজ করে দিয়েছে।

সে দুঃখও যেন যথেষ্ট ছিল না পাকিস্তানের জন্য। এবার মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে তাদের ওপর এসেছে জরিমানার দায়। আইসিসির ডিসপিউট প্যানেল পাকিস্তানকে বলেছে, এই আপিলের ফলে ভারতীয় বোর্ডের যত খরচ হয়েছে তার ৬০ ভাগ দিতে হবে পিসিবিকে। এ আপিল নিয়ে কাজ করেছে আইসিসির ডিসপিউট রেভুল্যুশন প্যানেল (ডিআরসি)। এ প্যানেলের যত খরচ হয়েছে তার ৬০ ভাগও পাকিস্তানকে বহন করতে হবে, বাকি ৪০ ভাগ বিসিসিআইকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। এ থেকে হাজার কোটি রুপির ব্যবসা করার আশায় ছিল পিসিবি। কিন্তু সেটা না হওয়ায় ৪৪৭ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আপিল করেছিল পাকিস্তান। সে ক্ষতিপূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ভারতীয় বোর্ডের খরচের বেশির ভাগ তাদের বহন করতে হচ্ছে তাদের।