করাচিতে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও বাংলাদেশ
>
ইমার্জিং কাপে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ
ইমার্জিং কাপে ধীরে ধীরে জ্বলে উঠছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দল। প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে এসেছে কষ্টার্জিত জয়। যে ম্যাচকে সবচেয়ে কঠিন ভাবা হচ্ছিল, সে ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন ব্যাটসম্যানরা। আজ স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
জাকির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন ও ইয়াসির আলির ব্যাট থেকে এসেছে হাফ সেঞ্চুরি। এক রানের জন্য অর্ধশতক ছুঁতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান ওপেনার জাকিরের।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জাকির হাসান উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। ব্যক্তিগত ২৫ রান করে মিজানুর ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েন জাকির। ২৭তম ওভারে দলীয় ১৪৬ রানে আউট হন জাকির। ৬৯ বলে ৮ চারে ৬৯ রান করেন তিনি।
১৪৬ থেকে ১৬১, এই ১৫ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ফিরে যান নাজমুল হোসেন। আর ১৬১ রানে ফিরেছেন পাঁচ নম্বরে নামা আফিফ হোসেন। ৫৪ বলে ৪ চারে নাজমুলের সংগ্রহ ছিল ৪৯। মাত্র ৬ রান করেছেন আফিফ। হঠাৎ ছন্দপতন হওয়া বাংলাদেশের ইনিংসের মেরামত করেন মোসাদ্দেক ও ইয়াসির আলি। মাত্র ৯৭ বলে ১২৬ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন ইয়াসির। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন হংকংয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মোসাদ্দেক। তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই ৩০৯ রানের বড় লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ৭৪ বল খেলে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ রান। চারের চেয়ে ছয়-ই বেশি মেরেছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই অলরাউন্ডার। তিনটি চারের ইনিংসে ছয় ৪টি।
৩১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইতিমধ্যে দুই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১২ ওভারে ৫৯। ৫ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান।