সাকিবদের কাছ থেকে 'চ্যালেঞ্জ' চান ব্রাফেট
>ঘরের মাঠে খেলায় টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বলেই মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট। এখানকার উইকেট বরাবরের মতোই মন্থর হবে বলে মনে করছেন জ্যাসন হোল্ডারের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বভার পাওয়া ব্রাফেট
ক্রিকেটে একটা কথা প্রচলিত আছে, ঘরের মাঠে সবাই বাঘ। ক্রেগ ব্রাফেট কি কথাটা জানেন! বাংলাদেশে পা রেখে সাকিব-মুশফিকদের কাছ থেকে তিনি কিন্তু কঠিন লড়াই-ই আশা করছেন। তার কারণ, ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা। ক্যারিবীয় অধিনায়ক অবশ্য এ নিয়ে বেশি চিন্তিত নন। ভারতে প্রায় দেড় মাসের লম্বা সফর শেষে বাংলাদেশে পা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ভারতের কন্ডিশন আর এখানকার কন্ডিশনকে ‘প্রায় একই’ বলেই মনে করেন ব্রাফেট।
বাংলাদেশ দলও কিন্তু ব্যাপারটা জানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পরই বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘যেহেতু ওরা কিছুদিন আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে। ওটা ওদের কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে।’ ব্রাফেট ঠিক এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন। সংবাদমাধ্যমকে উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত সফর করে এসেছি। প্রথম টেস্টের আগে ওটা খুব ভালো প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে করি। কন্ডিশন প্রায় একই, উইকেটেও তেমন পার্থক্য নেই।’ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে এই সিরিজ নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তা ভালোই বোঝা যায়। ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারলেও উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা সেরে ফেলেছে ক্যারিবীয়রা। তা ছাড়া গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজও তাঁরা জিতেছে ঘরের মাঠে। এবার ফিরতি সিরিজটা বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ায় বাংলাদেশ যে কিছুটা সুবিধা পাবে তা মেনে নিচ্ছেন ব্রাফেট। উইকেট তো এমনিতেই হাতের তালুর মতো চেনা, তার ওপর ঘরের দর্শকদের সামনে খেলার সুবিধা পাবেন সাকিব-মুশফিকেরা। ব্রাফেট তাই মনে করেন, ‘চ্যালেঞ্জ থাকাই স্বাভাবিক। কাজটা মোটেও সহজ হবে না। ওরা ঘরের মাঠে খুব ভালো। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
গত দুই বছরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ বছর সেই ঘরের মাঠেই শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজটা ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে পরিষ্কার বোঝা গেছে হোম কন্ডিশনের সুবিধাটা বাংলাদেশ সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। তাইজুল ইসলাম ১৮ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করলেও সিলেট কিংবা মিরপুরের কোথাও ধুঁকতে দেখা যায়নি জিম্বাবুয়েকে। এই দুই টেস্টেই উইকেট ছিল চিরাচরিত মন্থর ও স্পিনবান্ধব।
নিজেদের টেস্ট সিরিজেও একই উইকেট আশা করছেন ব্রাফেট, ‘মন্থর উইকেট আশা করছি। এখানে যেমন হয়ে থাকে আরকি। দেখা যাক কি হয়।’ তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পর একটা ধারণা দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ—জিম্বাবুয়ে যে উইকেট পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত সহজ উইকেট পাবে না। এমনটাই বুঝিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এখানকার কন্ডিশন (ভারতের চেয়ে) কিছুটা ভিন্ন। আমরা যদি হোম কন্ডিশনটা আমাদের মতো করে নিতে পারি, তাহলে ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতেও পারে।’