আওয়ামী লীগের মাশরাফিকে শুভেচ্ছা বিএনপির আমিনুলের
মাশরাফি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, আমিনুল কিনেছেন বিএনপির। রাজনীতির মাঠে এ দুই দলের সম্পর্ক প্রবল বৈরী হলেও আমিনুল শুভকামনাই জানিয়েছেন মাশরাফিকে
দুজনই আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক খেলা ছেড়ে অবসরে গেলেও মাশরাফি বিন মুর্তজা কিন্তু খেলে যাচ্ছেন এখনো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই মাঠে নামার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুজনই নেমেছেন ভোটের রাজনীতিতে। দুজনই নির্বাচন করার জন্য মনোনায়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল থেকে। জাতীয় রাজনীতির মাঠে তাঁদের নিজ নিজ দল প্রবল বৈরী হলেও মাশরাফির প্রতি কিন্তু শুভকামনা থাকছে আমিনুলের।
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলরক্ষক বলা হয় আমিনুলকে। তাঁর বীরত্বেই ২০০৩ সালে সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলেছেন, অধিনায়কত্বও করেছেন। খেলার মাঠে খেলোয়াড়সুলভ আচরণ তাঁর ছিল চমৎকার। নির্বাচনী ময়দানে নেমেও সেই গুণ বজায় রাখলেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামলেও মাশরাফিকে শুভকামনা জানালেন গত ২০ বছরে বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা, ‘মাশরাফির জন্য শুভকামনা। বর্তমান খেলোয়াড় হিসেবে সে নির্বাচনে আসায় কিছুটা সমালোচনা হয়েছে। আমার মতো খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে এলে হয়তো এই সমালোচনাটা হতো না। তবে আমি মনে করি, মাশরাফি ও আমার মতো তরুণেরা সংসদে গেলে গুণগত পরিবর্তন আসবে। তার জন্য সব সময় শুভকামনা থাকবে।’
ঢাকা-১৪ ও ১৬ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন আমিনুল হক এবং পাবেনও বলে আশাবাদী, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী। আমি দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশেই ঢাকা-১৪ ও ১৬ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, এ দুটির যেকোনো একটিতে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ বর্তমানে বিএনপির যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল।
উল্লেখ্য, মাশরাফি বিন মুর্তজা গত সপ্তাহে নড়াইল-২ আসনে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।