ভারতের কাছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মেয়েরা
মেয়েদের অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ দল যতই ভালো করুক, মূল দলের খেলায় মেয়েদের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। তাই বলে ৭ গোল হজম! সাম্প্রতিক সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ৭-১ গোলের পরাজয়টা অবিশ্বাস্যই বটে। ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে এই পরাজয় সাবিনা খাতুনদের অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই নয়। ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের ইতিহাসও বটে।
আজ বালা দেবী ও কমলা দেবীর সামনেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে গিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। বালার চার গোলের সঙ্গে জোড়া গোল করেছেন কমলা। অন্য গোলটি এসেছে সানজুর পা থেকে। শেষ দিকে এক গোল করে ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশের কৃষ্ণা রানী সরকার।
অথচ শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত শেষ সাফ ফুটবলেও ভারতের বিপক্ষে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে করেছিল গোলশূন্য ড্র। আর ফাইনালে ৩-১ গোলে হেরেছিল দলটি। হারলেও সাবিনা, কৃষ্ণাদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছিল সবাই। ২১ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশের তো আরও পক্ব হওয়ার কথা। উল্টো পরাজয়ের ব্যবধানটা গেল বেড়ে। প্রথমার্ধে তিনটি ও দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে চারটি গোল। ফলে সেরা রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার যে আশা নিয়ে মিয়ানমার গিয়েছিল বাংলাদেশ, সে দরজাও এখন বন্ধ। নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে এখন কী হয়, সে শঙ্কা উল্টো জাগছে। এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে বাছাইপর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
কয়েক মাস আগেও মেয়েদের কল্যাণে বাংলাদেশের ফুটবলে একটা সুবাতাস বইছিল। কিন্তু এএফসি অনূর্ধ্ব–১৯ বাছাইপর্ব ও সিনিয়র অলিম্পিক বাছাইপর্ব দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের আসল বাস্তবতা। আরও একটা বিষয় পরিষ্কার, বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশ যেকোনো উপায়েই হোক সাফল্য পেলেও মূল দল এখনো শিশু।