দুবার পিছিয়ে পড়েও পাঁচ গোলের 'থ্রিলার' জয়!
>বুন্দেসলিগায় কাল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
ম্যাচ শেষে মার্কো রিউস সত্যি কথাটাই বললেন, ‘অবিশ্বাস্য ম্যাচ। মাঠে ভীষণ মজা পেয়েছি।’ ওদিকে বায়ার্ন মিউনিখ খেলোয়াড়দের মুখ ভার। ফ্রাঙ্ক রিবেরি, রবার্ট লেভানডোফস্কি বিষাদ মুখে মাঠ ছাড়ছিলেন। গোটা ম্যাচ না দেখেও শুধু ওই দৃশ্যটুকু দেখেই বুঝে নেওয়া যায় ‘জার্মান ক্লাসিকো’র ফল—হেরেছে বায়ার্ন। অর্থাৎ জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু স্কোরবোর্ড সব সময় ম্যাচের আসল চিত্র বোঝাতে পারে না। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটা জিততে পারত যে–কেউ!
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো লড়াই। যেখানে লিগ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। স্বাগতিকদের এক রিউসকে ঠেকাতেই হিমশিম খেয়েছে বায়ার্নের রক্ষণভাগ। দুই দলই জমাট ও গতিময় ফুটবল খেললেও মূল লড়াইটা হয়েছে লেভানডোফস্কি ও রিউসের মধ্যে। লেভার গোলে দুবার এগিয়ে গেছে বায়ার্ন। ৬৭ মিনিটের মধ্যে এই দুবারই ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফিরিয়েছেন রিউস। শেষ পর্যন্ত ৭৩ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পাকো আলকাসেরের গোলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ডর্টমুন্ড।
চলতি মৌসুমে বদলি খেলোয়াড়কে ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেই ব্যবহার করছেন ডর্টমুন্ড কোচ লুসিয়েন ফাভরে। বদলি হয়ে মাঠে নামা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমের এই পথ পর্যন্ত ১৮টি গোল করেছে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ পাঁচ লিগ বিবেচনায় আর কোনো দলই ডর্টমুন্ডের মতো বদলি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এত বেশি গোল পায়নি। আলকাসের এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। এ মৌসুমে বদলি হয়ে এ পর্যন্ত চার ম্যাচে মাঠে নেমে সাত গোল করেছেন আলকাসের।
ডর্টমুন্ডের কাছে এই হারে চাপ বাড়ল বায়ার্ন কোচ নিকো কোভাচের ওপর। এ মৌসুমে লিগে মোটেও ভালো করতে পারছে না গত ছয় মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। দুই গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও দলটির মুঠো থেকে জয় হাতছাড়া হওয়ার নজির গত ১৮ বছরে এই প্রথম। ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে বুন্দেসলিগা টেবিলের তিনে বায়ার্ন। তাদের সঙ্গে ৭ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে ডর্টমুন্ড।