১৭.৫-৭-৩১-১০!

সিদাক সিং। ছবি: টুইটার
সিদাক সিং। ছবি: টুইটার
>

ভারতের সি.কে নাইড়ু অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সিদাক সিং

১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন অফ স্পিনার জিম লেকার। ৪৩ বছর পর ফিরোজ শাহ কোটলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে লেকারের সেই কীর্তিতে ভাগ বসান অনিল কুম্বলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্টে এক ইনিংসে কুম্বলেও নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। সি.কে নাইড়ু অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটে কাল কুম্বলের সেই কীর্তিই মনে করিয়ে দিলেন সিদাক সিং। মনিপুরের বিপক্ষে ১৯ বছর বয়সী এই স্পিনারের বোলিং ফিগার ১৭.৫-৭-৩১-১০!

ম্যাচের প্রথম দিনেই অবিশ্বাস্য এই বোলিং করেছেন সিদাক। ষষ্ঠ ওভার থেকে বোলিংয়ে এসে উইকেট তুলে নিয়েছেন দ্রুতই। এতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭১ রানেই গুটিয়ে যায় মনিপুর। উত্তর প্রদেশে জন্ম নেওয়া সিদাক আদতে মুম্বাইয়ের ক্রিকেটার। পুদুচেরিতে খেলছেন ‘বাইরের ক্রিকেটার’ হিসেবে। সিদাক এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিতে পারতেন এর আগেই। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে মহারাষ্ট্রের এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন সিদাক। শচীন টেন্ডুলকারের পর (১৪ বছরে) দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে মুম্বাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করার গৌরবও সিদাকের। সেটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে।

সিদাকের উঠে আসার পথটা অবশ্য এত মসৃণ নয়। তাঁর অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কয়বার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর আগে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনের বোলারদের তালিকাতেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কঠিন সেই দিনগুলো পার করে শুধু ক্রিকেট নিয়ে পরে থাকতে চান সিদাক, ‘তখন অনেক চাপ ছিল। কিন্তু আমি হাল ছাড়তে চাইনি। ক্রিকেট আমার ভালোবাসা। অনেক পরিশ্রম করে এখন তার ফল পাচ্ছি।’

সিদাক অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েননি। তবে ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কুম্বলে ছাড়াও কিন্তু একই নজির গড়েছেন আরও কিছু বোলার। দেশটির সাবেক পেসার দেবাশীষ মোহান্তি দুলীপ ট্রফিতে এই কীর্তি গড়েছেন। রঞ্জি ট্রফিতে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন সাবেক পেসার প্রদীপ সুন্দরম। এই রঞ্জিতেই একই কীর্তি রয়েছে মিডিয়াম পেসার প্রেমাংশু মোহন চ্যাটার্জির। এ ছাড়া ভারতের সাবেক লেগ স্পিনার সুভাস গুপ্তেও এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন।