ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে আবার কিসের প্রীতি ম্যাচ!
>মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২টায় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবের শহর জেদ্দায়
কথাটা ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন। আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দিও বলেছেন। যেন একই বাক্য দুজনের মুখে অনুরণিত হলো। দুজনই বলছেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যখন মুখোমুখি হয়, সেটা আর প্রীতি ম্যাচ থাকে না। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা ঘিরে এমন একটা আবহ আগে থেকেই শুরু হয়, সেই উত্তাপের আঁচ এসে লাগতে শুরু করে। তার প্রভাব মাঠের খেলায় তো পড়বেই।
প্রসঙ্গত, লাতিন দুই ফুটবলশৈলীর আঁতুড়ঘর তাদের নিজস্ব ফুটবলীয় দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য মুখোমুখি হচ্ছে আবার। মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২টায়) সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। তবে ইকার্দি পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মধ্যে কখনো প্রীতি ম্যাচ হয় না। এই ম্যাচ ঘিরে থাকে অনেক আবেগ। আগের সফরে (বিশ্বকাপের পর) আমরা কলম্বিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলেছি। ওরাও দুর্দান্ত দল। কিন্তু ব্রাজিল তো ব্রাজিলই, তাদের বিপক্ষে খেলা মানে অন্য কিছু। এ কারণে ওদের বিপক্ষে যে ম্যাচই খেলুন না কেন, সেটা কখনো প্রীতি ম্যাচ হয় না। এটা কখনো হবেও না।’
সৌদি আরবের বিপক্ষে গত ম্যাচে ২-০ গোলে জেতার পর ব্রাজিল কোচ তিতেও এই প্রসঙ্গটা টেনেছিলেন। পরের ম্যাচটা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বলেই সেদিন দলের খেলায় বেশি নাখোশ ছিলেন তিতে। বলেছিলেন, ‘আমরা এই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলিনি। আমরা জিতেছি স্রেফ দারুণ একটা আক্রমণভাগ ছিল বলে। ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা কখনো প্রীতি ম্যাচ হয় না। ওই ম্যাচে আমাদের এর চেয়েও অনেক ভালো খেলতে হবে।’
ভালো আর্জেন্টিনাকেও খেলতে হবে। গত ম্যাচে ইরাককে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বলেই যে এ ম্যাচে আর্জেন্টিনা ফেবারিট থাকবে, তা অবশ্যই নয়। বরং আর্জেন্টিনার খেলাতেও ছন্দপতন ঘটছে মাঝেমধ্যেই। ইকার্দি মনে করেন, বিশ্বকাপের পর দলটা নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেই আপাতত একটু লয়হীন লাগছে, ‘আমরা নতুন একটা প্রকল্প অনুসরণ করছি। অনেক নতুন খেলোয়াড় আসছে, যাদের অনেকে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে তুলছে। সবাই মিলে ভবিষ্যৎ নির্মাণের চেষ্টা করছি। একটা ভিত্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কিছু নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সেই নতুন ভবিষ্যতে ইকার্দিকে বড় সৈনিক হিসেবেই ভাবতে চায় আর্জেন্টিনা। যদিও ইকার্দি নিজেও এখনো জাতীয় দলের নতুন নেতা হয়ে উঠতে পারেননি। গত ম্যাচটা তো দর্শক হয়েই থাকতে হলো ফিটনেসে সমস্যা ছিল বলে। ইকার্দি মুখিয়ে আছেন ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার জন্য, ‘আমি এখন বেশ সুস্থ আছি। এবার বেশ ভালো অবস্থায় আছি, দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করছি। গতবার যেটা হয়নি।’
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এ নিয়ে ১০৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। একসময় দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে সমতা থাকলেও ব্রাজিল আবার এগিয়ে গেছে। ৪০টি ম্যাচ জিতেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ৩৮টি। গত বছর জুনে দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল প্রীতি ম্যাচে। আর্জেন্টিনা কোচ হিসেবে হোর্হে সাম্পাওলির অভিষেক ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১-০-তে।