ক্রিকেট একটা 'বাজে খেলা'!
>মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্রিকেটকে ‘বাজে খেলা’ বললেন নিউজিল্যান্ড নারী দলের ব্যাটসম্যান সুজি বেটস
মার্কাস ট্রেসকোথিককে মনে আছে? সাবেক এই ইংলিশ ওপেনারের সৌজন্যে ক্রিকেট–বিশ্ব বেশ আগেই জেনেছে মানসিক অবসাদ ক্রিকেটারদের একটি রোগ। সেটি বেশ ভয়াবহ। ট্রেসকোথিক, জোনাথন ট্রটরা এই অবসাদে ভুগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। তখন ব্যাপারটা ঢাকঢাক গুড়গুড় করে বাজলেও কেউ সেভাবে মুখ খোলেনি। ক্রিকেট খেলাটা মনের ওপর কতটা চাপ বিস্তার করে তা সবাই জানলেও প্রকাশ্যে আসেনি। সুজি বেটস ঠিক সেই কাজটাই করলেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার সোজাসাপ্টা বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিচারে ক্রিকেট সবচেয়ে বাজে খেলাগুলোর একটি।
বুধবার ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। দিনটি উপজীব্য করে নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের সাক্ষাৎকার নিয়েছে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম। সেই সাক্ষাৎকারে বেটসের মন্তব্য, এটা সম্ভবত সবচেয়ে বাজে খেলা—সেটি মানসিক স্বাস্থ্য বিচারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেটসের ক্যারিয়ার প্রায় এক যুগের। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ধকল পোহালে এমন কথা বলা যায়। পরিবার-পরিজন ছেড়ে দীর্ঘদিনের সফর, সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের চাপ, মাঠের মধ্যে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে নানা কৌশল আর সমীকরণ—এসব ব্যাপারই মূলত ভীষণ চাপ সৃষ্টি করে থাকে ক্রিকেটারের মনে।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় এই ব্যাটসম্যান তাই মনে করেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে শারীরিক দক্ষতার চেয়ে মানসিক দক্ষতার বেশি প্রয়োজন। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আসার পর শারীরিক দক্ষতার চেয়ে মানসিক দক্ষতাটা বেশি কাজে লাগে। অনেক কিছুর সঙ্গে লড়তে হয়, বিশেষ করে দল যখন খারাপ করছে—বলেন বেটস। মেয়েদের ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ার সঙ্গে মানসিক দক্ষতার প্রয়োজনও বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। মেয়েদের ক্রিকেট এখন আরও পেশাদার, আরও বেশি ব্যস্ত সূচি—কারণ বিশ্বের নানা জায়গায় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে।
বেটস সাম্প্রতিক চাপটাই তুলে ধরলেন, ‘মেয়েদের ক্রিকেটে আগে খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভাবত না। খেলার জন্য তিন-চার সপ্তাহ বাইরে থাকলেও ঘরে ফিরে পরিবারকে সময় দেওয়া যেত। কিন্তু এখন সফর শেষে আপনাকে ঘরে ফিরতে হচ্ছে আবারও অনুশীলনে নামার জন্য।’