জিতুক বাংলাদেশ, ফুটবলে জমে উঠুক সিলেট

গতকালের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দল। ছবি: বাফুফে
গতকালের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দল। ছবি: বাফুফে
>

লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। সিলেটে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

যেকোনো টুর্নামেন্ট জমে উঠতে প্রয়োজন দুটি বিষয়। প্রথমত, স্বাগতিকদের জয় আর দ্বিতীয়ত বড় দলের হোঁচট খাওয়া। আপাতত দ্বিতীয়টির প্রয়োজন নেই। আজ বাংলাদেশ জিতলেই জমে উঠবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আর সিলেটও হয়ে উঠবে ফুটবলের নগরী।

প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ লাওস বাংলাদেশের কাছাকাছি মানের দলই। এ দলের সঙ্গে গত ২৭ মার্চ ভিয়েনতিয়েনে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ ড্র করে আসতে পেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। জেতার সমান এক ড্র। ঘরের মাঠে আজ তো তাহলে বাংলাদেশেরই জেতা উচিত। বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে ও সম্ভাব্য অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও স্বাভাবিকভাবে তা–ই চান। জেমি ডে হাসিমুখে বললেন, ‘আমি জিততে চাই।’

কিন্তু লাওস কোচ মাইক অংয়ের মুখেও বাংলাদেশকে হারানোর প্রত্যাশা। তবে প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই চাপের, সংবাদ সম্মেলনে বলতে ভোলেননি সে কথা। থাই লিগে খেলা দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে আনা যায়নি বাংলাদেশে। ‘এটি আসলে তরুণ একটি দল’ বলে কোচ আগামীর দল তৈরির কথাই বারবার মনে করিয়ে দিলেন। এই দল নিয়েই ৯০ মিনিট পর নিজেদের জয়ী দেখতে চান লাওস কোচ। তাই আজকের ম্যাচে ফেবারিট কারা প্রশ্নে বলেন, ‘এটা শেষ বাঁশির পর বোঝা যাবে।’

কয়েক দিন আগেই এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। তারপর সাফের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালের সুবাস পেতে পেতে ফিরে আসা। সে হিসেবে আজ সাফের হতাশা ভোলার মিশন। নতুন এই মিশনে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে দলে কিছু পরিবর্তন এনেছেন কোচ। জাফর ইকবাল, তৌহিদুল আলম সবুজদের দলে নিয়েছেন। বাংলাদেশ দলে এখন সাতজন ফরোয়ার্ড। কোচ আক্রমণাত্মক ছকে যাচ্ছেন।

আক্রমণাত্মক ফুটবলের মন্ত্র জামালের কণ্ঠেও। কিন্তু খেলোয়াড়েরা কি একটু ক্লান্ত? ‘টায়ার্ড কই? ফুটবলার হিসেবে সব সময়ই খেলতে তৈরি।’ জামালের কথায় দারুণ আত্মবিশ্বাস। মাঠে সেটির প্রতিফলন থাকলেই সিলেটে এই উৎসবটা জমবে ভালো!