হাসপাতাল ছেড়েছেন সাকিব
বাঁ হাতের কনিষ্ঠার চোট নিয়ে এশিয়া কাপের দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। খেলেছিলেন চারটি ম্যাচও। কিন্তু চোটের অবস্থার আরও অবনতি হলে দেশে ফিরে আসেন ফাইনালের আগেই। এসেই অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য হন। ফলে তিন দিন হাসপাতালেই ছিলেন বাংলাদেশের টি টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক। আজ অবশেষে দেশসেরা অলরাউন্ডার হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উড়ান ধরার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন চোট পাওয়া হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। গায়েও জ্বর জ্বর ভাব। দেরি না করে চলে যান হাসপাতালে। শুনলেন দুঃসংবাদ। চোট পাওয়া বাঁ হাতের কড়ে আঙুল থেকে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছড়িয়ে পড়েছে। পুঁজ জমে মারাত্মক অবস্থা। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচার করে পুঁজ বের করা। এরপর গত তিন দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাকিব।
এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান সাকিব। হাড়ে কোনো চিড় ধরা না পড়লেও বাঁ হাতের কনিষ্ঠার গোড়া মচকে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় টিস্যু। সাকিব চেয়েছিলেন, এশিয়া কাপে না খেলে এই সময় অস্ত্রোপচার সেরে ফেলবেন। কিন্তু পরে দলের চাহিদা মেনে খেলেছেন। এশিয়া কাপে চারটি ম্যাচও খেলেছিলেন। কিন্তু চোট ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দেশে ফিরে আসেন এবং অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য হন।