ইমরুল-সৌম্য খেলবেন আজ?

আজ কি দেখা যাবে এ দুজনকে? প্রথম আলো ফাইল ছবি
আজ কি দেখা যাবে এ দুজনকে? প্রথম আলো ফাইল ছবি
>এক তামিম ইকবালের চোট বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বের করে এনেছে। ইনিংস উদ্বোধনে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সমস্যা বের হয়েছে মিডল অর্ডারে। লেট অর্ডারও যে খুব ভালো অবস্থায় আছে তাও নয়। ফলে একাদশ সাজানো যেন রুবিকস কিউবের মতোই জটিল হয়ে উঠেছে

এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান আর ভারতের কাছে বাজে হারে হঠাৎ করেই যেন এলোমেলো গোটা দল। চোটের কারণে তামিম ইকবালের না থাকার ব্যাপারটি যেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের সব দুর্বলতাকে সামনে এনে ফেলেছে।

লিটন দাস টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ, নতুন সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন আস্থা রাখার মতো কিছুই করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে রান পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনও পরের দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ। মোসাদ্দেক হোসেন অনেক দিন ধরেই নিজের ছায়া। সাড়ে তিন বছর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে মুমিনুল হকও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। সব মিলিয়ে আজ আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে প্রথম একাদশ নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় মাশরাফি-বাহিনী।

দুই ম্যাচে হারের পরপরই সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমিরাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে। লিটন, নাজমুল, মুমিনুলদের ব্যর্থতার কারণেই যে ইমরুল, সৌম্যকে দলে ডাকা হয়েছে, এটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এই দুজনের কাকে আজ একাদশে দেখা যাবে না, সেটি নিশ্চিত নয়। আদৌ কাউকে দেখা যাবে কিনা, সেটি নিয়েও সংশয় আছে।

পুরো দল কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে আরব আমিরাতে গেছে। সেখানে রাতে দুবাই পৌঁছে পরদিন দুপুরেই এমন তপ্ত আবহাওয়ায় ম্যাচ খেলতে নামা আদৌ সম্ভব কিনা সেটা আলোচ্য বিষয়। তা ছাড়া পৌঁছানোর পর ঘুম ও বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় না পেয়ে এদের বাংলাদেশ দলের কারও পক্ষেই কি মাঠে নামা সম্ভব?

ওদিকে বাংলাদেশ দলের পক্ষে আরও একটি ম্যাচ নাজমুল হোসেন কিংবা লিটনকে পরখ করা সম্ভব কি? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেটি করতে বাধ্য দল। তবে একটু এদিক-ওদিক তো করাই যায়! মুমিনুল হক ভারতের বিপক্ষে খেলেননি। আজ কি লিটনের সঙ্গে মুমিনুলকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর কথা ভেবে দেখবে দল? অবাক হওয়ার কিন্তু কিছুই থাকবে না তাতে। তবে এ সম্ভাবনার কথা এখনো শোনা যায়নি। আবার আফগানদের বোলিং আক্রমণে নতুন বল তুলে দেওয়া হয় মুজীব-উর-রহমানের হাতে। সে ক্ষেত্রে লিটনের সঙ্গে মিঠুনকে ইনিংস উদ্বোধন করার দায়িত্ব নিয়ে পাঠানো যায়। এ দায়িত্ব এর আগেও নিয়েছেন মিঠুন। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস তাঁর এখানেই।

মিঠুনকে লাইনআপে তুলে আনা হলে মিডল অর্ডারে আবার শূন্যস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। মুমিনুলে আস্থা না পেলে আরিফুল হক আছেন। মুমিনুল ও আরিফুল দুজনকে নামাতে চাইলে হয়তো মোসাদ্দেককে জায়গা ছাড়তে হবে। যদিও মোসাদ্দেকের বদলে আরিফুলকে নামিয়ে দিলেই যে তিনি ফাটিয়ে দেবেন—সেটি বলা যাচ্ছে না। মোদ্দাকথা, একাদশ নিয়ে আজ যথেষ্ট দোটানায় দল।

এক তামিমের অনুপস্থিতি দলকে যে এমন সমস্যায় ফেলবে, সেটি আগে কে ভেবেছিল!