মোসাদ্দেককে সতর্ক করেছে বিসিবি, নাসিরেরটা পরে

>স্ত্রী সামিনা শারমীনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে গত ১৬ আগস্ট। গত রোববার ২৬ আগস্ট, মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলাও হয়েছে। আজ সেটির জের ধরে বিসিবির শুনানিতে ডাকা হয়েছিল মোসাদ্দেককে। যেহেতু মামলা চলছে, বিসিবি কোনো শাস্তি দেয়নি মোসাদ্দেককে, শুধু সতর্ক করে দিয়েছে

এশিয়া কাপের দলে আছেন। মোসাদ্দেক হোসেনের ভাবনায় এখন শুধু এশিয়া কাপই থাকার কথা। সেটি আর থাকছে কোথায়! স্ত্রী সামিনা শারমীনের সঙ্গে বিচ্ছেদ, পরে তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা ময়মনসিংহের আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা। আজ সেটির জের ধরে বিসিবির শুনানিতে হাজিরা—ভালো হুজ্জতেই পড়েছেন মোসাদ্দেক।

সাব্বিরের মতো আপাতত মোসাদ্দেকের কোনো শাস্তির সুপারিশ করেনি বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি। শুধু সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বিসিবি আসলে মোসাদ্দেককে শাস্তি দিতেও পারে না। কেন পারে না, সেটির ব্যাখ্যা দিলেন বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘মোসাদ্দেককে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নিজের কার্যকলাপ, চলাফেরা নিয়ে যেন সে সাবধান থাকে। যেহেতু ওর মামলাটা পারিবারিক, আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

শুনানি শেষে বেরিয়ে আসছেন মোসাদ্দেক। ছবি: প্রথম আলো
শুনানি শেষে বেরিয়ে আসছেন মোসাদ্দেক। ছবি: প্রথম আলো

তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সতর্ক করার পাশাপাশি মোসাদ্দেককে তাই কিছু উপদেশও দিয়েছে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি। ইসমাইল হায়দার বললেন, ‘সৈকতকে (মোসাদ্দেক) উপদেশ দিয়েছি। একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে কীভাবে চলা উচিত, এ নিয়ে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতে যেন সংযত হয়ে চলে। ওর মামলাটা বিচারাধীন, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত এখন নিতে পারি না। আদালত থেকে যা বলা হবে, সেটাই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।’

জানা গিয়েছিল, সাব্বির-মোসাদ্দেকের সঙ্গে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির শুনানিতে আসতে হবে নাসির হোসেনকেও। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন এক উঠতি মডেল। পরে দুজনের একান্ত ব্যক্তিগত ফোনালাপের অডিও ছড়িয়ে পড়ে ইউটিউবে। এতে ভীষণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে বিসিবি।

শুনানিতে ডাকার কথা থাকলেও নাসিরকে অবশ্য পরে না করে দেওয়া হয়। এ মুহূর্তে কেন তাঁর শুনানির প্রয়োজন হয়নি, শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষ থেকে সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইসমাইল হায়দার, ‘পরে হয়তো ডাকা হতে পারে। চোটের কারণে সে ক্রিকেটের বাইরে আছে। একজন ক্রিকেটারের কী শাস্তি হতে পারে? আর্থিক কিংবা নিষেধাজ্ঞা। যেহেতু সে চোটে পড়েছে, এ কারণে আমরা ডাকিনি।’